• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর ব্যবহার করবে ভারত


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৬:৫৫ পিএম
পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর ব্যবহার করবে ভারত

ঢাকা: চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য দেশটির উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পরিবহনের জন্য একটি চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চুক্তির খসড়াটি মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উপস্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে দুপুর ২টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম চুক্তির খসড়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম বন্ধুপ্রতীম দেশ। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারত তাদের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করার জন্য ‘Agreement on the use of Chattogram and Mongla Port for Movement of Goods to and from India between the People’s Republic of Bangladesh and Republic of India’ শীর্ষক চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরে জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্টে যোগাযোগের জন্য যে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে এর চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখানে প্রভিশন রাখা হয়েছে, নেপাল ও ভুটান ইচ্ছা প্রকাশ করলে যুক্ত হতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করা এটির উদ্দেশ্য। ভারত কর্তৃক চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য দেশটির উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পরিবহন করা। দেশের অভ্যন্তরে পণ্য সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশের ভেহিকেল ব্যবহার করা হবে, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী (গ্যাট) এবং দেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে, শুল্ক বিভাগ ডিউটিজ অ্যান্ড ট্যাক্সেস সমপরিমাণ বন্ড গ্রহণ করা হবে। মালবাহী কার্গো শনাক্ত করার জন্য ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সক্ষমতা অনুসারে মালামাল পরিবহন প্রায়োরিটি প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে মালামাল পরিবহনের জন্য গ্যাট প্রিন্সিপাল অনুসারে শুল্ককর ব্যতীত চার্জ ফি ও পরিবহন খরচ আদায় করা হবে। বাংলাদেশের স্থলবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে স্থল বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধির ফি আদায়।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘চুক্তি মোতাবেক নৌ সচিবদের নেতৃত্বে গঠিত ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার নিরসন করা হবে এবং উভয় দেশের কর্মকর্তা সমন্বয়ে কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সাব গ্রুপ গঠন করা হবে। জরুরি প্রয়োজনে বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনো পক্ষ চুক্তির বাস্তবায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করার সুযোগ আছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চুক্তিটি ৫ বছরের জন্য সম্পাদিত হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও ৫ বছর বলবৎ থাকবে তবে ৬ মাসের নোটিশে যে কোনো পক্ষ চুক্তিটি বাতিল করতে পারবে।’

পণ্য পরিবহনের রুট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ভারতের পণ্য পরিবহনের রুটটা হচ্ছে এ রকম চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট টু আগরতলা ভায়া আখাউড়া একটা, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট টু ডাউকি ভায়া তামাবিল, চট্টগ্রাম ও মোংলা টু সুতাকান্দি ভায়া শেওলা, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট বিবিরবাজার ভায়া সীমান্তপুর।’

এক প্রশ্নের জবারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটি ট্রানজিট ঠিক না কারণ আমাদের পরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের আইন অনুযায়ী শুল্ক ও ট্যাক্স তাদের দিতে হবে।’

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!