• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পশুবর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ঢাকার দুই সিটি


বিশেষ প্রতিনিধি আগস্ট ১১, ২০১৮, ০২:৪৪ পিএম
পশুবর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ঢাকার দুই সিটি

ঢাকা : দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কোরবানির পশুবর্জ্য অপসারণে প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তবে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে নগরবাসীকেও। দুই সিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, উন্মুক্ত স্থানে তো নয়ই পশু কোরবানি করতে হবে নির্ধারিত স্থানে।

পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ঈদুল আজহায় বেড়ে যায় রাজধানীর বর্জ্য। কোরবানির পর ঢাকাবাসীকে দ্রুত বর্জ্যমুক্ত নগরী উপহার দিতে গত কয়েক বছর থেকে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে দুই সিটি করপোরেশন। তারপরও দুর্গন্ধময় পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় সপ্তাহও পেরিয়ে যায় কোনো কোনো মহল্লাবাসীর।

দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বর্জ্য অপসারণে দায়িত্ব পালন করবেন অন্তত ২১ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। কোরবানির জন্য এবার ঢাকায় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার একশ ৭০টি। নগরবাসীকে এসব স্থানেই কোরবানি করতে অনুরোধ করেছে সিটি করপোরেশন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, গত বছরও আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করেছি, এইবারও সেই ধরনের প্রস্তুতি থাকবে। সেটা মেয়র মহোদয় ঘোষণা দিবেন। তবে, এর বেশি হবে না।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল বলেন, সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে নগরীটাকে পরিবেশ সম্মত রাখতে পারি, অল্প সময়ের মধ্যে। সেই সাথে বর্জ্যসমূহ অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত সরাতে পারি। সেই ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই।

তারপরও যারা বাসার ভেতরে কোরবানি করবেন তারা নিজ দায়িত্বে সিটি করপোরেশনের পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করে বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে রেখে আসবেন। নগর-পরিকল্পনাবিদরাও বলছেন শহরকে দ্রুত পরিচ্ছন্ন করতে দায়িত্ব রয়েছে নাগরিকদেরও।
 
নগরবিদ আখতার মাহমুদ বলেন, নাগরিকদের থেকে রেসপন্স করা দরকার। সেই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের যে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তারা সময় মতো ময়লাগুলো যেন নিয়ে যায়।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ঢাকা শহরে ১ লাখ কোরবানি ঢাকা শহরকে দুর্গন্ধময় করে রাখবে, দিনের পর দিন মাসের পর মাস এটিও গ্রহণযোগ্য নয়। এই ১ লাখ মানুষকে নিয়ম-কানুন অনুযায়ী বর্জ্য সংরক্ষণ ও এবং বর্জ্য সুব্যবস্থাপনার করার কার্যক্রমে বাধ্য করতে হবে।

নগরবিদরা আরো বলছেন, উন্নত বিশ্বেরমতো ঢাকায় যেদিন অসংখ্য স্লোটার হাউজ বা পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান করা সম্ভব হবে সেদিন নিশ্চয়ই বর্জ্য অপসারণের দুর্ভোগ কমবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!