• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্যারাসিটামল কতখানি নিরাপদ?


স্বাস্থ্য ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬, ০৬:৫২ পিএম
প্যারাসিটামল কতখানি নিরাপদ?

প্যারাসিটামল ওষুধটি কিনতে চিকিৎসকের কোনো প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না। আর তাই এ ওষুধটি প্রচুর মানুষ সেবন করেন বিনা প্রয়োজনে। তবে বাস্তবে কী ওষুধটি নিরাপদ? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

প্যারাসিটামল নানা কারণে চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, হালকা ব্যথা ও যন্ত্রণায় এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অনেকেই এ ওষুধটি ঠাণ্ডা জ্বর, মৌসুমি জ্বর, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগে ব্যবহার করছেন।
আইবুপ্রোফেন ও ন্যাপ্রোক্সেনের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই প্যারাসিটামলে। এ কারণে প্রতিদিন প্রচুর প্যারাসিটামল দেয়া হয় নানা ধরনের রোগীদের।

ওভারডোজ থেকে সাবধান
অধিকাংশ মানুষেরই প্যারাসিটামলের ওভারডোজের বিষয়টিতে কোনো ধারণা নেই। প্যারাসিটামল ওষুধটি আপাতদৃষ্টিতে নিরাপদ হলেও এর অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর। এছাড়া এটি অ্যালকোহলের সঙ্গে ব্যবহার করাও বিপজ্জনক। এটি লিভার ফেইলরের কারণ হতে পারে। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় এ কারণে বহু মানুষ মারা যায়। পেইনকিলার অতিরিক্ত সেবন করার কারণেও বহু মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়।

ভারতের চিকিৎসকরাও বলছেন প্যারাসিটামলের ওভারডোজের কারণে বহু মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়।

কতখানি প্যারাসিটামল নিরাপদ
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি প্যারাসিটামল সেবন করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে নিরাপদ মাত্রা হলো দৈনিক সর্বোচ্চ ৪,০০০ মিলিগ্রাম। অর্থাৎ আপনি যদি ৫০০ এমজি ট্যাবলেট সেবন করেন তাহলে সর্বোচ্চ আটটি ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা শিশুদের ক্ষেত্রে এ মাত্রা তার তুলনায় কম হবে।

আপনি কি ঝুঁকিতে আছেন?
প্যারাসিটামল ওষুধটির ঝুঁকির বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার। যেহেতু এটি সারা বিশ্বের অত্যন্ত ব্যবহৃত ওষুধ তাই এর ঝুঁকির বিষয়টি চিকিৎসকদের অজানা নয়। চিকিৎসক যদি প্রেসক্রিপশনে প্যারাসিটামল লিখে থাকেন তাহলে তা জেনেশুনেই লিখেছেন। আর এর নিরাপদ মাত্রা প্রতিদিন চার হাজার মিলিগ্রাম, যা মেনে চলা কঠিন নয়।

নিজে যারা প্যারাসিটামল সেবন করেন তাদেরও সর্বদা এ বিষয়টি মনে রাখা উচিত যে, কখনোই নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশিমাত্রায় ওষুধটি সেবন করা উচিত নয়।

ওষুধের মান যদি ঠিক থাকে, তা যদি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকে এবং অ্যালকোহলের সঙ্গে সেবন করা না হয় তাহলে এতে ঝুঁকি নেই বললেই চলে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!