• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সফরে ফরিদপুরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হবে কি?


ফরিদপুর প্রতিনিধি মার্চ ২৮, ২০১৭, ০২:৪৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর সফরে ফরিদপুরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হবে কি?

ফরিদপুর: বুধবার (২৯ মার্চ) ফরিদপুরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী আসছেন ফরিদপুরে জনসভা করতে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরবাসীর মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ফরিদপুরকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ নানা প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন।

সরকারের নীতিগত সম্মতির পরেও ঘোষণা এখনো না আসায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ফরিদপুর বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এ ঘোষণাটি শোনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে ফরিদপুরের মানুষ। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ কাজী নিশাত রসুল স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় জানা গেছে, বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হেলিকপ্টারে করে ফরিদপুরে আসবেন। এরপর ফরিদপুরের ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ১২টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে বিকেল ৩টায় শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি।

ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। এর মধ্যে, ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন, ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন, পাইপ লাইনে গ্যাস সংযোগ স্থাপন ও কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন উল্লেখযোগ্য।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল বলেন, ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। একইসাথে আশায় বুক বেঁধেছে শহরবাসী।

সরেজমিনে ফরিদপুর শহর প্রদক্ষিণ করে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ব্যাপক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। সড়ক বিভাগসহ আশপাশের সব স্থাপনা ও ভবনে রঙ করা হয়েছে। শহরের প্রধান সড়ক মুজিব সড়কের ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে ব্যাপক আলোকসজ্জা করা হয়েছে গত চারদিন ধরে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সন্ধ্যার পর যেন আলোর বন্যায় ভাসছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ফরিদপুর পৌরসভাসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ১২৬টি তোরণ নির্মাণসহ প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্বলিত বিশালাকার প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার। উৎসুক শহরবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী যে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন সেগুলো হলো- ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নবনির্মিত ভবন, কবি জসীমউদদীন সংগ্রহশালা, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, শিশু একাডেমি ভবন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ মহাপরিদর্শকের কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ফরিদপুর ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট, সরকারি রাজেন্দ্র একাডেমিক কাম পরীক্ষা হল, কুমার নদের ওপর সেতু, ভাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, বিএসআইটি ভবন, ভাঙ্গা থানা ভবন, মধুখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, সদর উপজেলায় বাখুণ্ডা রসুলপুর ভায়া নিখুরদী সড়ক, সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৩৩/১১ কেভি হাড়োকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।

এছাড়া যে ১২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে সেগুলো হলো কুমার নদ পুনঃখনন, আলফাডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পুলিশ অফিসার্স মেস, পুলিশ হাসপাতাল, সালথা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন, সদরপুরের চন্দ্রপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ১৫০০ আসন বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস হল, সালথা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং সদরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রকল্প।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!