টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজীতে মুহুরী ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের চার স্থানে ভাঙনে দুই উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে স্থায়ী সমাধান চান এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কহিনুর আলম জানান, গত দুদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে রোববার বিকালে পরশুরামে উত্তর শালধর অংশে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের চার স্থান ভেঙে নদী-তীরবর্তী ছয় গ্রাম প্লাবিত হয়। পরে ফুলগাজীতে মুহুরী নদী ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের জয়পুর, উত্তর দৌলতপুর ও বিজয়পুর অংশে ভাঙন দেখা দেয়। এতে প্রবল বেগে নদীর পানি ফুলগাজী বাজারে এবং আশপাশের গ্রামগুলোতে ঢুকে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহূর্তেই ফেনী-ফুলগাজী সড়কের ফুলগাজী বাজার অংশ এবং গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যায়।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, বন্যার পানিতে তার ইউনিয়নের ফুলগাজী বাজার, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, জয়পুর, ঘনিয়ামোড়া, কিসমত ঘনিয়ামেড়া, বিজয়পুর গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সদ্য লাগানো রোপা আমন ধান ও সবজি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ওইসব গ্রামের কয়েকশ পুকর ও ঘেরের মাছ।
পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন মোল্লা জানান, বন্যার পানিতে তার ইউনিয়নের উত্তর শালধর, উত্তর রাজেশপুর, দক্ষিণ রাজেশপুর, পাগলীপুল গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে এসব এলাকার মানুষ। নিয়মিত এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে তারা সরকারের কাছে স্থায়ী সমাধান চান।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কিসিঞ্জার চাকমা জানান, তিনি আকস্মিক বন্যার খবর শুনে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ
আপনার মতামত লিখুন :