• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাবার রোগে ছেলেও আক্রান্ত


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি অক্টোবর ১৭, ২০১৭, ০৭:১৯ পিএম
বাবার রোগে ছেলেও আক্রান্ত

ঢাকা: বাবা বিল্লাল হোসেনের (৫০) মুখমণ্ডলে বিশালাকৃতির টিউমার হয়েছিল। তা এক পর্যায়ে ডান চোখের ওপর ছেয়ে যায়। এখন এক চোখে দেখেন তিনি। ঠিক তেমনি ছেলে মাসুদ রানারও(১৮) চেহারার বাম দিকে চোখের ওপর টিউমার হয়েছে।

কোনো উপার্জন না থাকায় খুব কষ্টে চলছে বিল্লাল হোসেনের সংসার। বিল্লাল হোসেনের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামে।

বংশানুক্রমিক এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণিতে উঠার পরে আর পড়া-লেখা হয়নি মাসুদের। বন্ধ হয়ে গেছে তার লেখাপড়া। বাবা-ছেলে একই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এলাকার অনেকেই এখন তাদের দিকে তাকায় না। আর এ কারণে তারাও এখন বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিল্লালের ডান চোখের ভ্রূ থেকে মুখমণ্ডল ও গালজুড়ে বেড়ে উঠছে বড় আকারের টিউমার। বাম চোখেও একই অবস্থা। এছাড়াও কপাল, মুখ, গলদেশসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য গুটি গুটি টিউমার রয়েছে।

বিল্লাল হোসেন পেশায় কৃষক। মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে তার পরিবার। বড় ছেলে মাসুদ রানারও জন্ম থেকেই তার মতো এ রোগে আক্রান্ত। এদিকে মাসুদের বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার টিউমারের আকৃতিও বড় হচ্ছে।

বিল্লাল হোসেন জানান, জন্ম থেকেই তিনি এ রোগে আক্রান্ত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়েছে টিউমারগুলোও। বড় হওয়ার পর ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন এর অপারেশন করলে মানসিক সমস্যা হতে পারে। এ কারণে তিনি আর কোনো ডাক্তার দেখাননি।

তিনি বলেন, আমার ছেলে মাসুদ এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে প্রথমে ঢাকার শিশু হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেছিলাম। সেখানেও ময়মনসিংহে যে কথাটি বলেছিল, আমার ছেলের ক্ষেত্রেও একই কথা বলেছে। তাই তাকেও আর কখনও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাননি।

তিনি আরও বলেন, বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়া আসা করতে যে টাকা খরচ হয় সেটিই তো যোগাড় করতে পারিনা, চিকিৎসা করাবো কোথায় থেকে। তাই বাবা-ছেলে সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছি।

অসহায় কৃষক বিল্লাল হোসেন ও ছেলে মাসুদ রানাকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন 01726 090083 নম্বরে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!