বামদের প্যান্ট খুলে পেটানো হবে

ঢাকা: ঢাকা  মহানগর  উত্তর  ছাত্রলীগ  সভাপতি  সৈয়দ  মিজানুর  রহমান  বাম  সংগঠনগুলোর  উদ্দেশ্যে বলেন, বামপন্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)  ক্যাম্পাসে টোকাইদের  নিয়ে এসে  ২০-২৫ জন মিলে মিছিল-মিটিং করে।  

তিনি বলেন, মিডিয়ার সামনে বড় বড় কথা বলে। আপনাদের (বামদের) সাহস থাকলে ক্যাম্পাসের বাইরে আসুন। পিঠের চামড়া থাকবেনা। আপনাদেরকে প্যান্ট খুলে পেটানো  হবে ।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে কালো পতাকা মিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি-৩২ এর বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে আত্মঘাতী বোমা বিষ্ফোরণের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কালো পতাকা মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মিজানুর রহমান  বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি সৃষ্টি করেছিল বামরা। বামহাতিদের ওই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছিল মোশতাক, জিয়ারা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বোমা হামলার পেছনে হাত ছিল বামহাতিদের।

সর্বশেষ গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডিতে আত্মঘাতী বোমা বিষ্ফোরণের পেছেনে কাজ করা বিএনপি-জামাতের আদর্শের নিশানা হচ্ছে এই বামপন্থীরা । তারা আগস্ট মাসকে বেছে নিয়েছে। বামপন্থীদের গুরু এখন লন্ডনে গিয়ে তারেক-খালেদার সঙ্গে বসে নতুন ষড়যন্ত্রের ছক কষছে।

সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময় এসে গেছে খালেদার দোসরদের প্রতিহত করার। আর মিছিল মিটিং নয়, আমাদেরকে মাঠে নেমে যেতে হবে। বাংলাদেশের যেখানেই জামাত-শিবির পাওয়া যাবে, সেখানেই তাদেরকে প্রতিহত করুন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এমনকি ঘরেও কোনো শিবির থাকবে না। আপনারা তাদের খুঁজে বের করে উৎখাত করুন। জামাত-শিবিরকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। প্রতিটি মিনিট সেকেন্ড তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। এদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাইরে কেউ থাকতে পারবে না।

সোহাগ আরো বলেন, ’৭৫ এর প্রেতাত্মরা ঐদিন (গত পরশু) আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। খালেদা-তারেকের নির্দেশে জামাত-শিবিরের কুলাঙ্গাররা আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে শোক দিবসকে নস্যাত করতে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা নস্যাত করে দিয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম