ঢাকা: নেপালের ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার ফ্লাইটের ৫০ যাত্রী ও ক্রুর সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানও।
এ দুর্ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে স্ট্রোক করেন ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম টপি। এরপর থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে।
গত রোববার থেকে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টায় মারা যান তিনি।
প্রথমে বাবা আবিদ সুলতানের মৃত্যুর খবরে দিশেহারা মাহিকে নিয়েই ছিল আত্মীয়-স্বজনদের দুশ্চিন্তা। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে স্বামীর কাছে চলে গেলেন টপি। তার মৃত্যুতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে স্বজনদের। তবে মায়ের মৃত্যুর খবর জানানো কাছে নেয়া হয়নি মাহিকে। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আইসিইউ বিভাগের নিচে ডাক্তার চেম্বারে রাখা হয়েছে তাকে।
টপির ভাই সাহিনুর রহমান সাহিন বলেন, গত রাতেও হাসপাতালে ছিলো মাহি। মায়ের খোঁজ খবর রেখেছে। ভোরে বাসায় চলে যায়। কিন্তু সাড়ে ৯টার দিকে মৃত্যু হয় মা টপির। সাড়ে ১০টায় দুঃসংবাদটি জানানো হয় মাহিকে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে মাহি। কোনোভাবে বোঝানো যাচ্ছে না। বারবার মায়ের কাছে যেতে চাইছে।
সাহিন বলেন, একটা ছেলে যার বাবার পর মাও সপ্তাহের ব্যবধানে মারা গেলো তার মনের অবস্থাটা বুঝুন। আমরা সবাই ওকে সহযোগিতা করবো। আপনারা ওর জন্য দোয়া করবেন। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ আবিদ-টপির জান্নাত কামনায় দোয়া করবেন। মাহি যেন শোক কাটিয়ে শক্ত হতে পারে সেজন্য দোয়া কামনা করছি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :