• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিএনপি নেতারা গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ফাঁস করেছেন’


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ০৭:২৫ পিএম
‘বিএনপি নেতারা গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ফাঁস করেছেন’

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির গোপন কথা জানতে কি আমাদের বঙ্গভবনের আশ্রয় নিতে হবে। বিএনপির গোপন কথা বলার জন্য বিএনপিই যথেষ্ট। জেল-জলুমের ভয়ে বিএনপি নেতারা তাদের দলের গোপন তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ফাঁস করেন।

গত ২২ জানুয়ারি এক আলোচনায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি গঠনে বিএনপি সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নাম দিয়েছে। কে এম হাসান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন জানিয়ে কাদের বলেন, হাসান সাহেব নিরপেক্ষ কি না। একই দিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল অন্য এক আলোচনায় বলেন, বিএনপি কে এম হাসানের নাম দিয়েছে এই তথ্য ওবায়দুল কাদের কীভাবে জানেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদের কোনো গোপন যোগাযোগ রাখেন কি না-সে প্রশ্নও তোলেন বিএনপি মহাসচিব। এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের সোমবার(২৩ জানুয়ারি) এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

পুরান ঢাকার বিকালে হোসনি দালানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করে বলেন, অনেকের নামে মামলা আছে তো। জেল জুলুমের ভয়ে গোয়েন্দাদের কাছে তারা ঘরের কথা বলে। এই সূত্র ধরেতো অনেকেই জানার কথা। যাদেরকে নিয়ে সংলাপে গেলেন, তাদের সবাইকে মির্জা ফখরুল সাহেব বিশ্বাস করেন?।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে দলের শীর্ষস্থানীয় নয় জন নেতাকে নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেদিন তারা কোনো নাম জমা দিয়েছিলেন কি না-সংলাপ শেষে এই তথ্য জানায়নি বিএনপি। বঙ্গভবন থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে নিজেরা নিজেদের উপর বিশ্বাস করুন, স্ববিরোধীতা পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতি করুন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য একেবারেই স্ববিরোধী। …আপনি একদিকে বলছেন গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে, আরেকদিকে বলছেন নাম পাঠাননি। এটা আপনার স্ববিরোধী অবস্থান। তিনি যখন বলছেন নাম পাঠাননি, তাহলে গোপনীয়তা ভঙ্গের বিষয়টি কেন আসলো?’।

ওবায়দুল কাদের কাদের বলেন, আমি শুধু বলতে চেয়েছি আমাদের কোন চয়েস নাই। কিন্তু বিএনপির ইতিহাস বলে তাদের সবসময়ই সাংবিধানিক পদে সবসময়ই তাদের দলের লোক প্রয়োজন। তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ তো বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। আর কে এম হাসান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানানোর জন্য বিচারপতিদের বয়স দুই বছর বাড়িয়েছেন। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের প্রত্যাশা হল নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটিতে তিনি যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন। তবে এটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!