• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারকদের চাকরিবিধি: আবারও সময় পেল রাষ্ট্র


আদালত প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৫, ২০১৭, ১২:৩১ পিএম
বিচারকদের চাকরিবিধি: আবারও সময় পেল রাষ্ট্র

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে নতুন করে এ সময় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আরও চার সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানিয়েছিলেন।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের তলবে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ও মোহাম্মদ শহিদুল হক হাজির হন। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের ওই দুই সচিবকে হাজির করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এর মধ্যে ৭ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দেন রাষ্ট্রপতি।

১৯৯৯ সালের ০২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিলো। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ০৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ ওই খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এর পরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।

একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।

গত বছরের ০৬ নভেম্বর সে অনুসারে মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি জানাতে পারেননি।

পরে আপিল বিভাগ বিধিমালা চূড়ান্তের বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা লিখিতভাবে জানাতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়ে ০৭ নভেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেন।

ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল আট সপ্তাহের সময়ের আবেদন জমা দেন। যাতে বিধিমালাটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন তিনি। সর্বোচ্চ আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন।

২৪ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল গেজেট প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময় চাইলে আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করেন। পরে ০১ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী ফিলিপাইনে রয়েছেন বলে ফের এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। সময় মঞ্জুরের পর ০৮ ডিসেম্বর আবেদনটি আবার কার্যতালিকায় আসে। এরপরও গেজেট না করায় দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!