• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সরকারের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন টিআইবি


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৯, ২০১৭, ০৯:৪৪ পিএম
ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সরকারের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন টিআইবি

ঢাকা: কোনো প্রকার নীতিমালা ছাড়াই দেশিয় কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ করতে অর্থ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি অর্থনীতির জন্য ভাল নয় বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে একই পরিবারের চারজন পরিচালক হওয়ার সিদ্ধান্ত ও অর্থপাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারায় সরকারের সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৯ মে) এক বিবৃতিতে সরকারের সমালোচনা এবং এ বিষয়ে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি জানায় টিআইবি।

বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও যোগসাজসের মাধ্যমে সুশাসনের অবক্ষয় ও লাগামহীন জালিয়াতি চলছে। প্রতি বছর বাড়ছে অর্থ-পাচারের পরিমাণ। এসব পরিস্থিতিতে সরকার কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরাধ করছি। এড-হক সিদ্ধান্তের প্রবণতা পরিহার করে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা দরকার। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ঝুঁকি নিরসন নীতিমালা করে তারপরেই সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি দেশ থেকে উদ্বেগজনক হারে অর্থ পাচার হচ্ছে। এমন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ উপেক্ষা করে ব্যক্তি খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং এর অপব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির কারণে প্রবাসী আয় বাবদ বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে। তা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সরকার। অথচ ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে বেসরকারি ব্যাংক খাতে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত সম্পূর্ণভাবে অনিয়ন্ত্রিত, জবাবদিহিহীন ও অভিভাবক-শূন্য হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

টিআইবি মনে করে, প্রয়োজনীয় আইনি ও নীতিকাঠামো এবং পরিবীক্ষণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে এড-হক ভিত্তিতে এরূপ সুযোগ সৃষ্টি করার ফলে বিদেশে অবৈধ অর্থ পাচার আরো বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পরষদে এক পরিবারের চার সদস্য পরিচালক হওয়ার সুযোগ দিলে এ খাতে পরিবারতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে। এর সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ না করে এরূপ আইনি সংশোধন অদূরদর্শীতার নামান্তর। 

এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ সাপেক্ষে অগ্রসর হবার আহ্বান জানায় টিআইবি। একইসাথে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের, বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সমন্বিত প্রয়াস নেয়া দরকার। 

অর্থ-পাচারের জন্য দায়ি ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিতেরও দাবি জানায় টিআইবি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!