• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভগ্নিপতির মতো এখন কথা বলা যাবে না : রাষ্ট্রপতি


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২০, ২০১৭, ০১:৫৮ পিএম
ভগ্নিপতির মতো এখন কথা বলা যাবে না : রাষ্ট্রপতি

ঢাকা : লিখিত বক্তব্যের বাইরে উপস্থিত বক্তৃতা করতে না পারার বেদনা নিজের স্বভাবসুলভ হাস্যরসে আবার উপস্থাপন করলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ‘আমার এখন আবার সমস্যা। আমি তো এখন রাষ্ট্রপতি। সুতরাং ভগ্নিপতির মতো এখন বলা যাবে না।’

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এম মনসুর আলীর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির জন্য লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করা হয়। আবদুল হামিদ বেশির ভাগ সময় সেটাই পড়েন। তবে মাঝেমধ্যে এর বাইরে গিয়েও নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক টানে কথা বলেন তিনি।
স্পিকারের দায়িত্ব পালনের সময় থেকে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় আবদুল হামিদ বলেন, ‘কোন্ কথার কোন অর্থ কে যে কিভাবে করে... আমি লেখার (লিখিত বক্তব্য) মধ্যে থাকতে নিরাপদ বোধ করি। লেখার ভেতর থাকা সত্ত্বেও আমার কথা কতভাবে যে টুইস্ট হয়, নিউজ হয়!’

হাস্যোজ্জ্বল মুখে আবদুল হামিদ বলেন, ‘এমন একটা ব্যাপার, যা-ই করুক না কেন, আমার কোনো সুযোগ নাই প্রতিবাদ করার। বেকায়দা একটা পজিশনে আছি। আমি এটা বলতে পারি না, আপনি যেভাবে বলছেন, আমি সেইভাবে বলি নাই। এটারও সুযোগ নেই।’ ‘আমি আবার লেখায় ফিরে যাই’ বলে আবার নিজের লিখিত বক্তব্যে ফিরে যান আবদুল হামিদ।

বক্তব্যে জেলহত্যাকাণ্ডের শিকার এম মনসুর আলীর সঙ্গে নিজের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন একসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকারে মনসুর আলী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময়কার কথাও আসে তার কথায়।

‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যেতাম। ওনার (মনসুর আলী) সিগার খাওয়ার অভ্যাস ছিল। সিগার খাইতেন। আমারও তখন অভ্যাস ছিল, সিগারেট খাইতাম। উনি যখন সিগারের প্যাকেটটা রাইখা অন্য কোথাও গ্যাছেন, আমি চার-পাঁচটা সরায়া ফেলতাম।’ রাষ্ট্রপতির এ কথায় পুরো মিলনায়তনে হাসির রোল পড়ে।

রাষ্ট্রপতি বলতে থাকেন, ‘উনি টের পাইতেন না। গুনে রাখতেন না। সিগার বাংলাদেশে পাওয়া যাইত না, বিদেশ থেকে আসত। এটা খাইতে একটু টেস্ট... অনেক ইতিহাস...।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার একটা সুবিধা ছিল, শুধু এমএনএ নয়, এমপিদের মধ্যেও আমি সবার ছোট ছিলাম। এ জন্য সবাই, জাতীয় নেতা যারা আছেন, সবাই স্নেহ করতেন এবং এই স্নেহের পুরোটাই আমি ব্যবহার করেছি।’ এ সময় আবারও হাসির রোল পড়ে পুরো মিলনায়তনজুড়ে।

মঞ্চে উপস্থিত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে জেলজীবনের স্মৃতিও তুলে ধরেন আবদুল হামিদ। ‘মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী, আমরা একসঙ্গে জেলে ছিলাম। সে ইতিহাস। ময়মনসিংহ জেল থেকে আমারে ট্রান্সফার করে দিল কুষ্টিয়া জেলে। হঠাৎ শুনলাম, তোফায়েল সাহেব কুষ্টিয়া জেলে আসবেন। ভাবলাম, দেখাটা হবে। কিন্তু ওনাকে আনার আগেই আমাকে ট্রান্সফার করে দিল রাজশাহী জেলে। দেখাটা হলো না। আবার রাজশাহী থেকে তদবির করে ঢাকায় এলাম। জেল থেকে ট্রান্সফার হওয়া, সেখানেও তদবির লাগে। তখন লাগত, এখন লাগে কি না জানি না।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!