• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে হাইকোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১০, ২০১৭, ০৮:০৩ পিএম
ভারতে হাইকোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকা: বারবার তাকে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তাতে কর্ণপাত না করে হাজিরা দেননি তিনি। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিন্নাস্বামী নাথন কারনানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল শীর্ষ আদালত।

ভারতে এর আগে কর্মরত কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার নজির নেই। তবে বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা জামিনযোগ্য। আগামী ৩১ মার্চ কারনানকে আদালতে হাজির করতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিংহ খেহরের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বদলির আদেশ স্থগিত করে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বিচারপতি কারনান। বিচারবিভাগে দুর্নীতি নিয়ে এক চিঠির প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই মামলাতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বিচারপতি কারনানকে আদালতে তলব করেন। তার জবাবে বিচারবিভাগে জাতিগত বিদ্বেষের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টকে পাল্টা চিঠি লেখেন কারনান। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ আনেন তিনি।

হিন্দু ধর্মের মধ্যে তিনি নিম্ন বর্ণের হওয়ায় উচ্চবর্ণের বিচারপতিরা তাকে সরানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন সেই চিঠিতে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারার জেনারেলকে লেখা চিঠিতে বিচারপতি কারনানের আবেদন ছিল, বর্তমান প্রধান বিচারপতির অবসরের পর যেন তার বিরুদ্ধে হওয়া আদালত অবমাননা মামলার বিচার করা হয়। প্রয়োজন হলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো হোক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সেই মামলাতেই গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি কারনানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচার ও প্রশাসনিক কাজ থেকে সরিয়ে দেয়। বিচারপতি কারনানের জিম্মায় থাকা সব ফাইল কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠিয়ে দেয়ারও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেদিন তিনি হাজির না হওয়ায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের তাকে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। সেদিনও তিনি হাজির হননি। এরপরই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল।

পরোয়ানা তামিল করার জন্য পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভারতে বসবাসকারী অধিকাংশই হিন্দু মতবাদে বিশ্বাস করে। এই ধর্মের মধ্যে জাত বা বর্ণ বৈষম্যর চেতনা প্রখর। উচ্চ ও নিম্ন বর্ণের ইস্যুটি সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যেও সমানভাবে কাজ করে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!