• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভুতুড়ে’ বিলে অদ্ভুত কাণ্ড


ঝালকাঠি প্রতিনিধি জুলাই ১০, ২০১৭, ১১:১০ এএম
‘ভুতুড়ে’ বিলে অদ্ভুত কাণ্ড

ঝালকাঠি: মিটার রিডারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে নলছিটির পৌর এলাকার গ্রাহকরা। বৈদ্যুতিক মিটারের রিডিং না দেখেই মাসের পর মাস বিল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুমান নির্ভর রিডিং আর উৎকোচ গ্রহণের কারণে বিদ্যুতের সিস্টেম লস হচ্ছে। অন্যদিকে গ্রাহক হয়রানি দিন দিন বেড়েই চলছে। হয়রানির শিকার অনেক গ্রাহক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন কমই। বিদ্যুৎ বিলের ওভার রিডিংয়ের কারণে ভোগান্তির শিকার সাড়ে ৯ হাজার গ্রাহকের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ নিয়ে যে কোন মুহূর্তে বিদ্যুৎ কর্মীদের সঙ্গে গ্রাহকদের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগে জানা গেছে, নলছিটি উপজেলার পৌর এলাকায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) আওতায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক সাড়ে ৯ হাজার গ্রাহক রয়েছে। গ্রাহকদের ব্যবহৃত মাসিক বৈদ্যুতিক রিডিং সংগ্রহকারী বা মিটার রিডার হচ্ছেন ২ জন। তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন আরও ৬ জন।

এ মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে উৎকোচ দাবি ও তা পূরণ না হলে ভুতুড়ে বিল দিয়ে হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কখনও আবার বড় গ্রাহকের সাথে আঁতাত করে রিডিংয়ের চেয়ে কম বিল করা হচ্ছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে সরকারকে।

পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড মালিপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ২ মাস ধরে মিটারের রিডিং না দেখেই বিল করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে মিটারের বিল দেখতে আসেন, তখন তারা চা-পান খাওয়ার টাকা দাবি করেন।

২নং ওয়ার্ড নাংগুলী গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক ফেরদাউস উদ্দিন ও সেলিম খান অভিযোগ করেন, মিটার রিডার ওমর আলী জুন মাসে বিল করতে গিয়ে উৎকোচ দাবি করেন। তার দাবিকৃত উৎকোচ না দেয়ায় তিনি বাড়তি বিল করেন। ওই ভুয়া ও ভুতুড়ে বিল নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অবহিত করলে বিদ্যুৎ কর্মীরা তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচারণ করেন।

এ ব্যাপারে নলছিটি বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন জানান, অনেক সময় রিডিং চেক করার সময় কারেন্ট না থাকায় মিটারের সঠিক রিডিং আনা সম্ভব হয় না। মিটার না দেখে বিল করাটা অন্যায়। অস্থায়ী মিটার রিডার দিয়ে কাজ করার কারণে এ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে রিডিং নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে বিল সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!