• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
একাদশ সংসদ নির্বাচন

ভোলা-৪: আ. লীগ-বিএনপি-জাপার একাধিক প্রার্থী


বিশেষ প্রতিনিধি জুলাই ১৮, ২০১৭, ০৬:৪৬ পিএম
ভোলা-৪: আ. লীগ-বিএনপি-জাপার একাধিক প্রার্থী

ভোলা: দ্বীপ জেলা ভোলার সর্ব দক্ষিণে সাগর উপকূলীয় চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের- ১১৮ ভোলা-৪ আসন। ভোলা জেলার এ আসনটি আয়তনের দিক থেকে জেলার প্রায় অর্ধেক। এ আসনটির একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নতুন তথ্যে রাজনৈতিক নির্বাচনী আলোচনা চায়ের কাপে ঝড় তুলেছে। দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশ শুরু করে দিয়েছেন।

জনবহুল এ আসনটিতে আ. লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। শুরু করেছেন প্রচার-প্রাচরণা ও লবিং। নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে গঠন করছেন তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় কমিটি, চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মি-সমাবেশ ও গণসংযোগ। দলের হাই কমান্ডের আনুগত্য লাভের জন্য নানা কৌশল আটছেন।

এ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব গত ৮ বছরে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। স্বাধীনতার পর এত উন্নয়ন চরফ্যাশন ও মনপুরাবাসী ইতোপূর্বে আর দেখেনি। তবে মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী দলীয় নেতা-কর্মীদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। ভাগ্যের পরিবর্তন না ঘটায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ আর চাপা ক্ষোভ।

আগামী নির্বাচনে এ ক্ষোভের বর্হিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। ফলে নির্বাচনে কর্মী সংকটে পড়তে পাড়ে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের আওয়ামী লীগের এই ক্ষোভের বরফ না গললে শেষ সময়ে টাকা খরচ করেও নির্বাচনী ফল ঘরে তোলা যাবে না। ফলে এ প্রার্থীর ব্যাপক ভরাডুবির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দলের ত্যাগী ও প্রবীন নেতা-কর্মীরা মনে করেন প্রার্থী পরিবর্তন হলে তৃণমুলে আওয়ামী লীগের চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসন হতে পারে এবং নির্বাচনী ফল ঘরে তোলা যাবে।

অপরদিকে বিএনপি ও জামায়াত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের দলীয় পদ-পদবী, চাকরি ও ঠিকাদারীসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দলীয় কর্মীদের বঞ্চিত করায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। যদিও শেষ সময় সুযোগ সন্ধানী বিএনপি নেতাদের আসল রূপ বেরিয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সরকারের অনেক সফলতা থাকলেও তা সাধারণ জনগণের কাছে অজানা। স্থানীয় নেতারা সরকারের উন্নয়নমূলক দিকগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেননি, এমনকি বিরোধীদলের অপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরতে নেতাকর্মীদের মাঠ পর্যায়ে আদৌ দেখা যায়নি।

এখানে আগামী নির্বাচনে পরিবেশ ও বন উপন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবই আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সচিব স্থানীয় আরব আলী মাস্টারের ছেলে এ কে এম আবদুস সালাম সেলিম, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ১/১১’র শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোনকারী রাষ্ট্রদোহী মামলার আসামি সাবেক ছাত্রলীগের জনপ্রিয় নেতা মাকসুদুর রহমান মাকসুদ লবিং ও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

বিএনপির থেকে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক চরফ্যাশনের কৃতি সন্তান নুরুল ইসলাম নয়ন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী লায়ন নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী আ. শহীদ মালতিয়ার ছোট ভাই মাকসুদ মালতিয়া মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং করছেন।

জাতীয় পার্টি থেকে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কেফায়েতুল্লা নজিব, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে চরফ্যাশনের বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন হাজী মনোনয়ন চাচ্ছেন।

এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সাথে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জোট অটুট থাকলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এই আসনটি থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!