• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদক-পর্ণগ্রাফি মামলায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশীট


বরিশাল ব্যুরো ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭, ০৯:১৫ পিএম
মাদক-পর্ণগ্রাফি মামলায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশীট

জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা

বরিশাল: বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচিত-সমালোচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লাকে অবশেষে আইনের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। ইয়াবা ও পর্ণগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট আদালতের নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছে প্রদান করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর নগরীর রূপাতলীতে মনির মোল্লার দখলে থাকা ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) রেষ্ট হাউজ থেকে মাদক ও পর্ণগ্রাফি উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হলেও মনির মোল্লা প্রভাব খাটিয়ে এজাহার থেকে তার নাম বাদ দিয়েছিলেন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ নেতা মনির মোল্লাসহ মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেন। মনির মোল্লাকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ৪ নম্বর ও পর্ণগ্রাফির মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রের অপর আসামিরা হলো- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কনষ্টবল সাইফুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম তালুকদার, আজিজুল হক, নগরীর ব্যাপ্টিষ্ট মিশন রোডের নাসির মোল্লা, নাসির খান, সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের মিলন মিয়া, কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা সৈয়দ মোর্শেদুর রহমান, রতন বড়ুয়া, জাহেদ হোসাইন, ঝালকাঠী জেলার রোকসানা বেগম, দিনাজপুর জেলার আব্দুস সালাম ও মো. সোহেল।

তদন্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযানের সময় রেষ্ট হাউজ থেকে গ্রেপ্তার আসামিরা আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মনির মোল্লার নাম প্রকাশ করে। তারা জানায়, মনির মোল্লা নেপথ্যে থেকে ওই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। ওই জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযোগপত্রে তাকে আসামিরা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা নগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পর রূপাতলীতে ওজোপাডিকোর রেষ্ট দখল করে সেখানে তার আস্তানা গড়ে তোলে।  গত ২২ সেপ্টেম্বর ওই আস্তানাতে অভিযান চালিয়ে ৪৫২ পিস ইয়াবা ও পর্ণগ্রাফির সিডিসহ পুলিশ কনষ্টবল সাইফুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদুল ইসলাম ও কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযোগ রয়েছে, ওই সময়ে মনির মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হলেও অদৃশ্য প্রভাবের ফলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এছাড়া গত ৬ ডিসেম্বর নগরীর রূপাতলী এ ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিএনপি নেত্রী এক নারী কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করে মনির মোল্লা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!