• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিনারে গিয়ে হাজিরা যা করবেন


ধর্ম ডেস্ক আগস্ট ২৩, ২০১৬, ০৫:২৭ পিএম
মিনারে গিয়ে হাজিরা যা করবেন

হজ শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যবানদের ওপর ফরজ ইবাদাত। ফরজ হজ পালনে সমগ্র বিশ্ব থেকে মুসলিম উম্মাহ পবিত্র নগরী মক্কায় উপস্থিত হন। যারা ইফরাদ ও ক্বিরান হজ আদায়ের নিয়ত করে বাইতুল্লায় অবস্থান করছেন। তারা ৭ই জিলহজ মসজিদে হারামে (বাইতুল্লায়) হজ সম্পর্কিত খুতবা শ্রবণ করে ঐ দিন বিকাল থেকে পর দিন ৮ই জিলহজ জোহরের নামাজের আগেই মিনায় উপস্থিত হবে।

যারা তামাত্তু হজের নিয়তে পবিত্র নগরী মক্কায় আগমন করবে, তারাও ৭ জিলহজ হজ সম্পর্কিত খুতবা শুনে মক্কা থেকে পূর্বের ন্যায় ইহরাম বেঁধে হজের নিয়ত করে (আল্লাহুম্মা লাইব্বাইক হাজ্জান) বলে তালবিয়া পাঠ করতে করতে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। তবে ৮ই জিলহজ জোহরের আগেই মক্কা ত্যাগ করে মিনায় উপস্থিত হওয়া উত্তম।

স্মরণ রাখা উচিত
৮ জিলহজ মুসলিম উম্মাহর তালবিয়া দিবস। এ তারিখ হজের নিয়তকারী সকল হাজি তালবিয়া পাঠ করতে করতে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে এবং ৭ জিলহজ থেকে শুরু করে ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের পূর্বেই মিনায় উপস্থিত হওয়া উত্তম।

মনে রাখতে হবে-
৭ বা ৮ তারিখ ইহরাম বাঁধার পর বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে হবে না। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামগণ বিদায় হজের সময় ‘আবতাহ’ নামক স্থানে ছিলেন। বিশ্বনবির নির্দেশে সাহাবগণ ৮ জিলহজ সেখান থেকেই ইহরাম বেঁধে মক্কায় না গিয়ে মিনার পথে রওয়ানা হন।

হজের নিয়ত
এ ইহরাম বাঁধার পর হজের নিয়ত করতে হবে। বলতে হবে- ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইক হাজ্জান বা লাব্বাইক হজ্জান’ এবং পুরুষরা সেলাইবিহীন দুই  কাপড় পরিধান করবে; আর মহিলার তাদের জন্য নির্ধারিত সতর অনুযায়ী ইহরামের কাপড় পরিধান করবে।

মিনায় নামাজ আদায়
ইহরাম বাঁধার পর হাজিগণ মিনার দিকে রওয়ানা হয়ে যাওয়াই হলো সুন্নাত তরিকা। সূর্য ঢলার পূর্বে হোক আর পরে হোক ৮ জিলহজ মিনায় পৌছাইতে চেষ্টা করা। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা অর্থাৎ ৮ জিলহজ ‘জোহর, আসর, মাগরিব, ইশা এবং ৯ জিলহজ সকালের ফজর নামাজসহ এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মোস্তাহাব।

মিনায় থাকাকালীন সময়ে মক্কার অবস্থানকারী বা বহিরাগত সকলকে প্রত্যেক নামাজ সুন্নাত মোতাবেক পড়ার নিয়ম হলো- প্রত্যেক ওয়াক্ত (জোহর, আসর ও ইশা) নামাজ উহার নির্দিষ্ট সময়ে কসর পড়া। মাগরিব ও ফজর নামাজ ব্যতিত- কেননা এ দুই নামাজে কসর নেই।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কাবাসী ও অন্যান্য স্থানের অধিবাসীদের নিয়ে মিনা, আরাফা ও মুযদালিফায় কসর নামাজ পড়েছিলেন। মক্কাবাসীদের সম্পূর্ণ নামাজ পড়তে নির্দেশ দেন নাই।

আরাফাতের ময়দানে যাওয়ার প্রস্তুতি
অতপর ৯ জিলহজ দুপুরের পূর্বে আরাফাতের ময়দানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিনা থেকে গোসল করে আরাফাতের যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ৮ জিলহজ হতে শুরু করে আরাফার ময়দানে রওয়ানা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সুন্নাত মোতাবেক আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!