মুক্তিযোদ্ধা হতে একাত্তরে ন্যূনতম বয়স ১৩

ঢাকা : জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে স্বাধীনতার প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক পরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাননো হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে মুক্তিযোদ্ধার বয়স ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁরাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।

সজ্ঞায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

আদেশনুযায়ী, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং যে সকল বাংলাদেশি বিশিষ্ট নাগরিক বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছেন।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীনে কর্মকর্তা বা কর্মচারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা।

এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগহণ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সাথে সম্পৃক্ত এমএনএগণ ও এমপিএগণও (গণপরিষদ সদস্য) মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাবেন।

প্রজ্ঞাপনুযায়ী, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিত নারীগণ (বীরাঙ্গনা), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ এবং দেশ ও দেশের বাহিরে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিকগণ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়বৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধকালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী মেডিকেল টিমের ডাক্তার, নার্স ও সহকারিরাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম