• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রূপা হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮, ১১:২৬ এএম
রূপা হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

টাঙ্গাইল: বহুল আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রূপা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে মামলার আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বাসটির হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫)। এছাড়া সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন বিচারক।

এ রায় টাঙ্গাইলের আইন অঙ্গনের ইতিহাসে এই প্রথম এ ধরনের একটি মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে হলো। অভিযোগ গঠন থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত এ মামলার পেছনে ব্যয় হচ্ছে মাত্র ১৪ কর্মদিবস।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নাছিমুল আক্তার নাসিম। তার সহায়তায় রয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী এস আকবর খান, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এমএ করিম মিয়া ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ।

এদিকে আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা থেকে আসেন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ২৯ নভেম্বর এই মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষীর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শুরু হয়। পরে আট কর্মদিবসে বিচারিক হাকিম, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চার কর্মদিবসে আসামিদের পরীক্ষা এবং উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

নিহত রূপার ভাই হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট। শুধু তাদের পরিবার নয়, পুরো দেশবাসী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে এই আশায় রয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকজন পরিবহনশ্রমিক এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ ওই রাতেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে রূপার মরদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন।

রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। এঁরা পাঁচজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা যায়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই/আকন
 

Wordbridge School
Link copied!