ঢাকা: ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন হেনশ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা মিয়ানমার সরকারের দায়িত্ব। এ দাবি করার মধ্যেই শনিবার(৪ অক্টোবর) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সফরে থাকা এক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, উদ্বাস্তু ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দায়-দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের। প্রক্রিয়া শুরুর দায় তাদের। মানুষগুলো যেন স্বেচ্ছায় ফিরতে পারে সেজন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকা দেয়ার বিষয়টি তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।”
রাখাইন রাজ্যের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে গত ২৫ অগাস্ট থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে দশ লাখে রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে গত কয়েক দশকে।
বাংলাদেশ বরাবরই বলে আসছে, মানবিক কারণে আপাতত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। এ সমস্যার পেছনে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা নেই; সমস্যার সৃষ্টি ও কেন্দ্রবিন্দু মিয়ানমারে, সমাধানও সেখানে নিহিত।
আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মধ্যে মিয়ানমার ১৯৯২ সালের প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থাপনায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলেছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘকে যুক্ত করাসহ কয়েকটি প্রস্তাব রাখা হয়।
বাংলাদেশের প্রস্তাবের কোনো জবাব না দিয়েই গত ৩১ অক্টোরব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দেরির জন্য উল্টো বাংলাদেশকে দোষারোপ করেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চির দপ্তরের মহা পরিচালক জ তাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নওয়ার্ট ও ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
সোনালীনিউজ/আতা
আপনার মতামত লিখুন :