• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে ফের ‘অপচিকিৎসার’ অভিযোগ


ফেসবুক থেকে ডেস্ক জুলাই ৩০, ২০১৭, ০২:৫৩ পিএম
ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে ফের ‘অপচিকিৎসার’ অভিযোগ

ঢাকা: ল্যাবএইড হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফের গুরুতর এক অভিযোগ তুলেছেন এক রোগী। গত ২৬ জুলাই দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে ওই রোগী এ অভিযোগ করেন।

রোগীর মেয়ের অভিযোগ ল্যাব এইডের একজন ডাক্তার ‘অযথা অপারেশন ও রোগ সম্পর্কে বাড়িয়ে বলে’। ল্যাব এইডের নিউরো ও স্পাইন সার্জন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে এ অভিযোগ করেছেন রোগীর মেয়ে কাজী সাইমা সাদিয়া।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেয়ার তার অভিযোগটি সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হলো-

আমার আম্মু (শামীমা রহমান) গত দুই মাস প্রচন্ড মেরুদন্ডের হাড় ও বামপায়ের শীরার যন্ত্রনা সহ মারাত্বক অসুস্থতায় শয্যাগত ছিলেন। যশোরের কতিপয় স্বনামধন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আম্মু কিছুটা চলাফেরা করতে পারছেন। তবে পুরাপুরি সুস্থতার আশায় গত ২০-০৭-২০১৭ তারিখে আম্মুকে নিয়ে ঢাকায় আসি।

অতঃপর বেশ কয়েকজনের পরামর্শে গত ২২-০৭-২০১৭ তারিখে অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান (চিফ কনসালটেন্ট, নিউরোসার্জারি, ল্যাবএইড স্পেশালাইসড হসপিটাল ও প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান (নিউরোসার্জারি), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) এর শরনাপন্ন হই। তিনি MRI ও X-RAY রিপোর্টসহ সকল রিপোর্ট দেখে যা বললেন তা রোগী এবং তার নিকট আত্বীয় হিসাবে মেনে নেয়া কষ্টকর।

তার ভাষ্যমতে, ‘আপনার বামপা প্যারালাইসড হয়ে গিয়েছে। আর কিছুদিন পর আপনি আর ইউরিন কন্ট্রোল করতে পারবেন না। আপনার কোমরের এই মাংস পচে গিয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আজই ভর্তি হয়ে যান, কাল অপারেশন হয়ে যাবে। খরচ পড়বে ২৭০০০০-৩০০০০০ এর মত। আর সারাজীবনের মত আপনার ভাত এবং মাংস খাওয়া শেষ। অপারেশন ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা নাই।’

এছাড়াও ওই ডা. প্রেসার মেপে বললেন প্রেসার ১৮০/১১০ যেখানে আমার আম্মুর লোপ্রেসার। পরের দিন সকালে মেপে দেখেছি ১১০/৭৫ ওজন মেপে বলেছিলেন ৭৯ কেজি অথচ পরের দিন মেপে দেখলাম ৭৬ কেজি।

এই সবকথা ঐ ডাক্তার আমার আম্মুর সামনে বলেছিলেন। আর আম্মু প্রচন্ড ভাবে ভেঙ্গে পড়েন আর কান্নাকাটি তে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পুনরায় শয্যাগত হওয়ার অবস্থা হয়।

পরের দিন অন্য একজন নিউরো সার্জনকে দেখানো হলে তিনি বলেন, ‘তেমন বড় কিছু নয়, 90% curable....এই ঔষধ নিয়মিত খাবেন ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।’

চিকিৎসক নামধারী কিছু বড় বড় পদক ওয়ালা কসাই রা এই মহান পেশাকে কলুসিত করছে। একজন রোগী যদি ডাক্তারের কথায় বিশ্বাস না রাখতে পারে তবে কাকে বিশ্বাস করবে? যদি তার ব্যবসায়িক মনোভাবই থাকবে তাহলে চেম্বার কেন? রাস্তার পাশে দোকান দিয়ে বসতো......

যার এতোটুকু কমনসেন্স নাই যে, রোগীর সামনে কি বলতে হবে আর কি বলা যাবেনা এই জ্ঞান নাই সে কিসের ডাক্তার???

এখন ও তো অনেক ভালো ডাক্তার আছেন কিন্ত তারাই বা আর কত দিন? এরা তো তাও মেডিকেলে চান্স পেয়ে এসেছিল। আর এখন তো আর কষ্ট করে পড়া লাগেনা, টাকা থাকলে প্রশ্ন ও কেনা যায়। যানিনা আমাদের বুড়া বয়সে কোন কসাই এর দারস্থ হতে হবে!

উক্ত ডাক্তারের কবলে পড়ে আমার আর কোনো পরিচিত পরিজনের হেনস্থা হতে না হয় সে জন্যই এই লেখা।

উল্লেখ্য, ল্যাবএইড হাসপাতালের বিরুদ্ধে এর আগেও অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সে বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণও দিয়েছিল।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!