বাগেরহাট : জেলায় শরণখোলায় শিক্ষকের মারধরে গুরুতর আহত হয়ে এক শিক্ষার্থী শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। উপজেলার ৮০নং উত্তর সোনাতলা আহম্মদীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।
সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর ও ৮০নং উত্তর সোনাতলা আহম্মদীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বাবা মো. লুৎফর হাওলাদার বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শামীম ফকিরের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে লুৎফর দাবি করেন, ওই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তার মেয়ে লামিয়া আক্তার (৯) প্রতিদিনের ন্যায় বিদ্যালয়ে যায়। ওইদিন দুপুরে লামিয়া ভুলক্রমে তৃতীয় শ্রেণি কক্ষে ঢুকে পড়ে। এতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীম ফকির ক্ষিপ্ত হয়ে লামিয়ার ঘাড় ধরে দেয়ালের সঙ্গে স্বজোরে ধাক্কা দিলে শিক্ষার্থীর মাথা ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে চিকিৎসার জন্য শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থী জানায়, শামীম স্যার ওই সময় তাকেসহ ৩য় শ্রেণির রনি ও রাকিবকেও মারধর করেন। লামিয়ার পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেনকে জানালেও তিনি কোনো গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমানে মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক শামীম ফকির বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্র, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, চিকিৎসার খরচসহ বিষয়টির মিমাংসার জন্য শিগগিরই বৈঠক করা হবে। শরণখোলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :