• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সতর্ক পায়ে হাঁটছে আওয়ামী লীগ


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৮, ২০১৭, ১১:০৫ এএম
সতর্ক পায়ে হাঁটছে আওয়ামী লীগ

ঢাকা: বছরজুড়েই রাজপথে থাকতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে দলটি। যেকোনো মূল্যে এ বছর  রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে বদ্ধপরিকর তারা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  

দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠে নামার কোনো সুযোগ না দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের। আওয়ামী লীগ মনে করছে, বিএনপি চলতি বছর মাঠে নামার পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে। তাই বছরজুড়ে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠ দখলে রাখবে ক্ষমতাসীনরা। এতে একদিকে সংগঠন চাঙ্গা হবে, অন্যদিকে বিএনপিও মাঠে নামতে সাহস পাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রস্তুতিও অব্যাহত থাকবে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, খুব সাবধানে চলতি বছর পার করতে চায় দলটি। তাদের মতে, নির্বাচন এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে বিএনপি মাঠে নামতে মরিয়া হয়ে উঠবে। সরকারবিরোধী বড় একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে চেষ্টায় রয়েছে তারা। তাই ঝামেলামুক্ত পরিবেশে বছরটি পার করতে পারলে নির্বাচনী মাঠে তেমন বেগ পেতে হবে না আওয়ামী লীগকে। এ বছর বিভিন্ন দিবস; যেমন ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতার মাস মার্চ ও জুনে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে মাসব্যাপী অনুষ্ঠান নিয়ে মাঠেই বেশি থাকার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। থাকবে রাজনৈতিক কর্মসূচিও। এর মূলে রয়েছে চলতি বছর মাঠ দখলে রাখার পরিকল্পনা। সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরার জন্য বছরজুড়ে নানা অনুষ্ঠানও চলবে।

জানা গেছে, জেলা সফর, তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এসব প্যাকেজ পরিকল্পনা নিয়ে আওয়ামী লীগ এ বছর মাঠ দখলে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে। চলতি বছর ঘরের চেয়ে মাঠেই বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় তারা।  আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বিএনপি মাঠে নামার সামান্য সুযোগ পেলেও সেটা আওয়ামী লীগের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই ইতিমধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের ভেতরে যে ভয়-ভীতি ঢুকেছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য মামলার প্রয়োজন পড়লে সেটাও করবে ক্ষমতাসীনরা। আর এ জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, মাঠে থেকে সেগুলো নিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দেবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।   

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘চলতি বছর আমাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড রয়েছে। আমরা এগুলো পালন করব। বিশেষ করে দল গোছানো, তৃণমূলের সম্মেলন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরতে সারা দেশ সফরেও বের হব আমরা।’ জানতে চাইলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এই বছর আমাদের দল গোছানোর বছর। মাঠেই বেশি থাকতে হবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।’

এ প্রসঙ্গে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘সরকার তিন বছর পার করেছে ইতিমধ্যে। নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণে আমাদের হাতে আছে মাত্র এ বছরটিই।’ তিনি বলেন, ‘এ বছর আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে।’  দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে মাঠে নামার একটি পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে এবং  এই ইস্যুতে মাঠে নেমে জনসম্পৃক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে একটু বেশি কর্মসূচি থাকবে আওয়ামী লীগের। 

এ ছাড়া বছরজুড়ে সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠান নিয়ে রাজধানীতে থাকবে নানা কর্মসূচি।’ রাজধানী থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহরেও বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম থাকবে বলে সূত্রটি জানায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!