• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
এডুকেশনটুডে-এর গোলটেবিল বৈঠক

সম্মিলিতভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের প্রত্যয়


বিশেষ প্রতিনিধি আগস্ট ১৩, ২০১৬, ০৮:৫০ পিএম
সম্মিলিতভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের প্রত্যয়

বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জঙ্গিবাদের উত্থান এবং বাংলাদেশে এর ক্রমবিস্তার রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটা এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ধর্মীয় সম্প্রতির এই দেশে জঙ্গিবাদের কোনো অস্তিত্ব থাকতে পারে না।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনের রাজ্জাক টাওয়ারে শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক প্রকাশনা ‘এডুকেশনটুডে’ আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিবাদের উত্থান : শিক্ষাঙ্গনে প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অমিকন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান। আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুঁইয়া, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক একেএম, গোলাম রাব্বানি, ইডেন কলেজের অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ও মুন্সিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

সৈয়দ মাহফুজ আল হোসাইনের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অমিকন গ্রুপের উপ-মহাব্যবস্থাপক এম শরীফ উল আলম, উপদেষ্টা সাব্বির হোসেন খান, এডুকেশনটুডে সম্পাদক মনীন্দ্রনাথ সরকার, শিশুসাহিত্যিক হুমায়ূন কবীর ঢালী ও মাহবুব রেজাসহ অনেকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনুষ্য সৃষ্ট এই জঙ্গিবাদকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার মতো মোকাবিলা করতে সবাইকে আহবান জানিয়েছেন। যে কোনও উপায়ে হোক জঙ্গিবাদকে দেশ থেকে চিরতরে বিদায় করতে হবে। তা না হলে এটা আমাদের দেশের সার্বিক সাফল্যকে গিলে খাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক  এ জে এম শফিউল আলম ভুঁইয়া বলেন, এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, জঙ্গিবাদ আজ নানা কারণে আমাদের দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সময় এসেছে সম্মিলিতভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, শিক্ষাঙ্গন থেকেই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে তিনি সমাজের সচেতন প্রতিটি মহলকে সবকিছুর ওপরে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানি বলেন, আমাদের আভিধানিক অভিধানে সন্ত্রাসবাদ বলে কোনো শব্দ ছিল না। ইংরেজি ‘টেরর’ শব্দ থেকে সন্ত্রাসবাদ শব্দটি আমাদের অভিধানে যুক্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাপি জঙ্গিবাদ আজ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একটি ভিন্নপ্রকাশ বলে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের দেশে কারা জঙ্গিবাদের প্রবেশ ও বিস্তার করেছে তা এখন মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!