• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের কঠোর নজরদারিতে স্যোসাল মিডিয়া


বিশেষ প্রতিনিধি আগস্ট ৭, ২০১৬, ০৫:৪৯ পিএম
সরকারের কঠোর নজরদারিতে স্যোসাল মিডিয়া

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত গুলশান ট্র্যাজেডি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর থেকে স্যোসাল মিডিয়ার ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে সরকার। ডিজিটাল এ যুগে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি তথ্য প্রবাহ ঘটছে। আর তাই সেটির ওপরই খড়গ লাগিয়েছে সরকার।

ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত স্ট্যাটাস, লাইক-কমেন্ট, পেজগুলোর কার্যক্রম, ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে লেখা এবং সব ধরনের ওয়েবসাইটগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যে কোনও বিষয়ে উস্কানিমূলক লেখালিখি বা মন্তব্য বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

জঙ্গিবাদ রুখতে পর্যবেক্ষণের মাত্রা বহুমুখী করার পাশাপাশি এর আওতা আরও বাড়ানো হয়েছে। এর সুফলও মিলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে ৩০টি ফেসবুক পেজ ও আইডি বন্ধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’তে চিঠি পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটা নজরদারির প্রাথমিক অগ্রগতি।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা বিভাগ থেকে দাবি উঠেছে, আলাদাভাবে না করে সমন্বিতভাবে নজরদারি চালানো হোক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সমন্বিতভাবে অনলাইনে নজরদারি করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। কার্যক্রমের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলেও মনে করছেন তারা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জঙ্গিদের প্রযুক্তির ব্যবহার রোধ করতে একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর (পদ্ধতি) প্রস্তুত করা হচ্ছে। গুলশানের মতো জঙ্গি হামলা হলে কার কী দায়িত্ব হবে, সে ধরনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আইসিটি অধিদফতর ‘ইন্সটলেশন অব সাইবার থ্রেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম’ শীর্ষক একটি প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মের অধীনে সবকিছু নজরদারি করা হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। ফলে কে, কোথায়, কখন, কী করছে, তা নজরদারি করা সহজ হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জঙ্গি রিক্রুটের একটি উর্বরক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এটি রোধ করতে সরকার কঠোর আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে।’

তিনি আরও বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিরাপত্তা সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল (এনটিএমসি) থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে বিটিআরসি। কোনও কিছু বন্ধ বা ব্লক করতে হলে কমিশন থেকে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েগুলোকে (আইআইজি) নির্দেশনা পাঠানো হয়।

কোনও সাইট বা ব্লগের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদী প্রচারণা ও বিদ্বেষমূলক কথাবার্তার প্রকাশের অভিযোগ থাকলে তা বন্ধ করবে সরকার। এছাড়া চরমপন্থা নিরসনের বদলে তা ছড়ালে বা উসকে দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সংবাদ ও ব্লগভিত্তিক ৩৫টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!