• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিমকার্ড আপনাকে পথেও বসাতে পারে!


বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক অক্টোবর ৮, ২০১৬, ০৮:২৪ পিএম
সিমকার্ড আপনাকে পথেও বসাতে পারে!

ঢাকা: অনলাইন ট্রানজাকশন আশীর্বাদ না অভিশাপ? সঠিক উত্তর কী হতে পারে? কেউ বলবেন, অনলাইন ট্রানজাকশনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হরহামেশাই তো এমন খবর পাই। সে কারণে সঞ্চয় মোটেই সুরক্ষিত নয়। আবার প্রতিপক্ষ বলছে একটু সতর্ক হলেই তো এসব ঝুঁকি এড়ানো যায়।

সে আপনি যতো তর্কবিতর্কেই জড়ান না কেন, ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। এখন চলুন জেনেই নিই আপনার সঞ্চয়ে ভাগ বসাবে কে? অথবা কে এমন আছে যে ব্যাংকে গচ্ছিত আপনার সব সঞ্চয় সিঁদ কেটে নিয়ে যাবে?

যদি ভেবে থাকেন, অনলাইন ট্রানজাকশনে না গেলেই তো আপনার টাকা সুরক্ষিত, তাহলে চরম ভুল করবেন। আচ্ছা, আপনি ‘ক্লোন সিম’- নামটা শুনেছেন? হ্যাঁ, এটাকেই আপনার সিমকার্ডের ‘সিঁদ’ বলতে পারেন। এই ক্লোন সিমই আপনার স্মার্টফোনের মহামূল্যবান সিমকার্ডের ‘সিঁদ’ কেটে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢোকার ফিকির বের করে ফেলেছে।

কীভাবে কাজটি করে তারা? বিশেষ একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনার ফোনের সিমটির ক্লোন করা হয়। সেই সফ্‌টওয়্যারে থাকে সিমকার্ড রিডার। এতে একটি সিমকার্ডের তথ্য অন্য কার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। এবারে প্রশ্ন হল, কীভাবে আপনার সিমটির ক্লোন তৈরি হয়? অচেনা নম্বর থেকে ভুয়ো ফোন বা এসএমএস নিশ্চয়ই আসে আপনার কাছে। তাতে আপনি কোথায় কতো কোটি টাকা বা আইফোন জিতেছেন, সে সব বলা থাকে। এবারে ভুলেও আপনি সেই এসএমএস-এর জবাব দিলে বা পাল্টা ফোন করলে, আপনার সিমের সব তথ্য উঠে যায় উল্টোদিকের সফটওয়্যারে। এবারে এই ফোন থেকে ফোন যায় আপনার ব্যাংকে। অনলাইনে পাল্টে ফেলা হয় আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য। ভেরিফিকেশনের জন্য কোড চলে যায় চোরের মোবাইলে। আপনি টেরও পাবেন না। অথচ আপনার টাকা অক্লেশে তুলে নিচ্ছে চোর।

রক্ষা পাবেন কীভাবে: প্রথমেই নিয়মিত মোবাইলের এসএমএস পরীক্ষা করতে থাকুন। কোনো অচেনা নম্বর থেকে ফোনে কেউ ব্যাংক বা ফোন সংক্রান্ত তথ্য চাইলে, দেবেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। যদি কোনো সন্দেহ হয়, ব্যাংকে গিয়ে আপনার যোগাযোগ নম্বরটি বদলে অন্য নম্বর দিন। ফোনে অ্যান্টি ভাইরাস সফ্‌টওয়্যার রাখুন। পাসওয়ার্ড করুন যত সম্ভব জটিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোন নম্বর শেয়ার করবেন না। +92, +90 বা +09 দিয়ে শুরু কোনো নম্বর থেকে ফোন বা এসএমএস এলে, তাতে উত্তর দেবেন না। (সূত্র: আনন্দবাজার)

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!