• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সুদের হার বাড়াল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১৬, ২০১৭, ০৬:১৭ পিএম
সুদের হার বাড়াল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ঢাকা: অনেক আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে সুদের হার বাড়াল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। সুদের হার ০.২৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা ফেডের প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন। এ নিয়ে গত তিন মাসে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার বাড়ানো হলো। বর্তমানে সুদের হার হয়েছে ১ শতাংশ, যা আগে ছিল ০.৭৫ শতাংশ।

ফেডের সুদ হার বাড়ানোর সিদ্ধান্তে মার্কিন পুঁজিবাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। গত দুই দিনেই চাঙাভাব বিরাজ করছে দেশটির পুঁজিবাজারে। গত ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৩৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে মার্কিন অর্থনীতিতে। এ ছাড়া কিছুদিন ধরেই বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৭ শতাংশে এসে স্থির হয়ে আছে। পাশাপাশি বেড়েছে ব্যয়যোগ্য আয়ের পরিমাণও।

এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে সুদের হার বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ আছে বলে মনে করছেন ফেড প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন। চলতি বছরে তিন ধাপে সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে ফেডের। ফেড প্রধান জানান, অর্থনীতিতে একটি শক্ত অগ্রগতি থাকায় পরিমিত হারে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সুদের হার বাড়ানো হলেও তা বর্তমান মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় হয়ে যাবে। ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং ২ শতাংশের কাছাকাছি মূল্যস্ফীতি টেকসই থাকবে বলে বিশ্বাস তার। সুদের হার বাড়ান হয়েছে—এ সংবাদে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে চাঙাভাব দেখা যায়। ওয়াল স্ট্রিটে লেনদেন শেষে গতকাল ডাও জোন্স সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ে। তবে বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর পড়তে দেখা গেছে। ইউরোর বিপরীতে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ ও পাউন্ডের বিপরীতে ১ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে যায় ডলারের দর।

গত বছরের ডিসেম্বরে সর্বসম্মতিক্রমে সুদের হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চলতি বছরসহ আগামী তিন বছর ২ দশমিক ১ শতাংশ থাকবে বলে আশা প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ২০১৯ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে মনে করছে তারা। তবে এই পূর্বাভাস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক কম। ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ ধরা হয়েছে। তবে জ্যানেট ইয়েলেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা অবশ্যই মূল্য স্থিতিশীলতা প্রেক্ষাপটে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্বাগত জানাব।

মূলত দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে মুদ্রানীতি পরিচালনা করে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। এর একটি হচ্ছে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান, অন্যটি স্থিতিশীল মূল্যস্তর। সাধারণত অর্থনীতি যখন দুর্বল থাকে তখন মূল্যস্ফীতিও কমতে থাকে। আবার অর্থনীতি যখন সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের দিকে যায় তখন মজুরি বাড়ানোর চাপ তৈরি হয় এবং এতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। অর্থনীতি খুব দ্রুতগতিতে এগোতে থাকলে ফেডারেল রিজার্ভ তার বেঞ্চমার্ক সুদহার বাড়িয়ে দেয়।

তাতে মানুষ খরচ কমিয়ে দেয় এবং সঞ্চয় বেশি করে। এর ফলে অর্থনীতি একটু শ্লথ হয় এবং মূল্যস্ফীতির চাপ কমে যায়।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!