• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৭, ২০১৬, ০৭:৫৯ পিএম
সৌদি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

সৌদি বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সফর শেষে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার (৭ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা  মদিনার প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

মদিনার ডেপুটি গভর্নর আব্দুল মহসিন আল মুনেফ , সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ এবং জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহীদুল করিম জেদ্দা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। 

সৌদি বাদশাহ সালমান দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌদি আরবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম সফর। এর আগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি।

শেখ হাসিনা শুক্রবার (৩ জুন) রাতে জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ বিন আবদুল আজিজ তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী কিং ফয়সাল প্যালেসের নৈশভোজে যোগ দেন।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলছেন, বিমানবন্দরে ক্রাউন প্রিন্সের অভ্যর্থনা, গার্ড অব অনার, লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং নৈশভোজে যে সন্মান এবার প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয়েছে, তা ‘অভূতপূর্ব’।

“যেভাবে বাদশাহর তত্ত্বাবধানে দ্বি-পক্ষীয় এ সফর হয়েছে, তাও গত তিন দশকে হয়নি,” বলেন সচিব।  

শুক্রবার (৩ জুন) জেদ্দা পৌঁছানোর পর রাতেই মক্কায় ওমরাহ পালন করেন শেখ হাসিনা। জেদ্দায় তিনি অবস্থান করেন রাজকীয় জেদ্দা কনফারেন্স প্যালেসে।

রোববার (৫ জুন)সকালে সেখানে তিনি সৌদি আরবের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর বাদশাহ সালমানের সঙ্গে  তার দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক হয়।

ওই বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, একটা শক্তিশালী সম্পর্ক উম্মুক্ত হয়েছে, যেটা আমরা আগে ঠিক এভাবে দেখিনি।

শহীদুল হকের ভাষায় প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ছিল ‘যুগান্তকারী’।

“আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তারও অনেক বেশি সফলতা এসেছে বলে আমার মনে হয়। এই সফরের মধ্য দিয়ে শুধু নতুন অধ্যায়ই উন্মুক্ত হয়নি, আমাদের সম্পর্ক ইতোমধ্যে একটা নতুন উচ্চতায় চলে গেছে।”

সৌদি আরবের অর্থ, পররাষ্ট্র, শ্রমমন্ত্রী এবং সহকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রীসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোববার (৫ জুন) জেদ্দা কনফারেন্স প্যালেসে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

সৌদি গোয়েন্দা প্রধান খালিদ বিন আলি হুমাইডানও সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।

শেখ হাসিনা সোমবার (৬ জুন)জেদ্দা থেকে মদিনায় পৌঁছালে প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মদিনার গভর্নর। মসজিদে নববীর  কাছে হোটেল মদিনা হিলটনে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

শেখ হাসিনা সোমবার (৬ জুন) জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ মসজিদে নববীতে আদায় করেন এবং এবারের রোজার প্রথম ইফতার সেখানেই করেন। ইফতারের আগে সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন তিনি।

রাতে মসজিদে নববীতে এশার নামাজ ও তারাবি আদায়ের পর মহানবীর (স.)  রওজা জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই সফরে সফরসঙ্গী ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা ও কয়েকজন আত্মীয় ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।  

এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদসহ ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা এ সফরে যান। গত জানুয়ারিতে বাদশাহর শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী এ সফরে গেলেন।

জেদ্দার উদ্দেশে শুক্রবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেন এবং মদিনায় মসজিদে নববীতে হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!