• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রী অসুস্থ, তাই ভাগ্নিকে আ.লীগ নেতার ধর্ষণ


লালমনিরহাট প্রতিনিধি নভেম্বর ২১, ২০১৭, ০৩:৩০ পিএম
স্ত্রী অসুস্থ, তাই ভাগ্নিকে আ.লীগ নেতার ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাট: স্ত্রীর বয়স হয়েছে, অসুস্থ। এই সুযোগ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় এক বছর যাবৎ বিভিন্ন সময় একধিক বার ধর্ষণ করেছে ৪৫ বছর বয়সী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা। তবে এখানেই শেষ নয়, মেয়েটি তাকে বিয়ে জন্য চাপ দিলে এখন সুর পাল্টিয়েছেন তিনি।

এঘটনায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম নুরুজ্জামান (৪৫)। তিনি উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। নির্যাতনের স্বীকার হওয়া মেয়েটি বর্তমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মেয়েটির পরিবারে সূত্র জানা যায়, উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের কাচারি এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। দুই সন্তানের জনক নুরুজ্জামানের স্ত্রী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকতা করছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ থাকায় নুরুজ্জামানের চোখ পড়ে প্রতিবেশী এক সুন্দরী স্কুলছাত্রীর উপর। দুঃসম্পর্কেও আত্মীয় হিসেবে মেয়েটি মামা হিসেবেই মানতো তাকে। কিন্তু এরপরও সেই মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে নুরুজ্জামান। 

ইতোমধ্যে মেয়েটি আগামীতে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য ফরমপূরণ করেছে। সেই লক্ষ্যে ঠিকঠাক পড়াশোনাও করছিল সে। কিন্তু চলতি মাসের ২ তারিখে নুরুজ্জামান ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে আবারো ধর্ষণ করে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানান, গত বছরের ২১ নভেম্বর নুরুজ্জামান তাকে এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। ঐ বাড়িতে একজন নারী ছিলেন। সেখানে মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় নুরুজ্জামান। কিন্তু কিছুদিন থেকে বিয়ের চাপ দেয়ার কারণে নুরুজ্জামানের সুর পাল্টে যায় বলে জানিয়েছে মেয়েটি।

মেয়েটির মা জানায়, নুরুজ্জামানকে আমি ভাই হিসেবে মানতাম। কিন্তু সেই নুরুজ্জামানই আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘নুরুজ্জামান আওয়ামী লীগের নেতা। তার কাছে আমরা অসহায়। এরপরেও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় রোববার রাতে হাতীবান্ধায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার জানান, ‘মামলা গ্রহণের পর থেকেই নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি যেসব বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’ 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!