• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩১ রকম চালের ভাতে নবান্ন উৎসব


রাজশাহী প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১, ২০১৬, ০৮:৫২ পিএম
৩১ রকম চালের ভাতে নবান্ন উৎসব

রাজশাহী : রাঁধুনি পাগল, কালজিরা, সুবাশ, বাঁশমতি, চিনি শঙ্কর, বাদশাভোগ, এক ধানে দুই চাল, বিন্নি। এমন সব ধানের নাম নতুন প্রজন্ম তো দুরের কথা প্রবীনদের অনেকের মনের পাতা থেকে হারিয়ে গেছে। এমন বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রাজাতিরর ধানের চাল দিয়ে রান্না করা হয়েছিলো। সেই চালের ভাত খেয়েই বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হলো নবান্ন উৎসব। এমন উৎসবের আয়োজন নিয়েও অনেকের উৎসাহের শেষ ছিলো না।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার দুবইল গ্রামের প্রধানমন্ত্রীর পদকপ্রাপ্ত কৃষক ইউসুফ মোল্লা এ উৎসবের আয়োজন করেন। শুধু কি ৩১ প্রজাতীর চাল দিয়ে ভাত রান্না? তার সঙ্গে ছিলো ২১ রকম চালের পায়েস, পাটিসাপটা, সিদ্ধপিঠাসহ অনেক কিছু। এমন ব্যতিক্রম আয়োজনে তো অতিথিরাও খুশি।

ভোর থেকে দুবইল গ্রামের চিত্রটা ছিলো অন্য দিনের চেয়ে আলাদা। গ্রামটির বাড়ির বৌ-মেয়ে ও প্রতিবেশি নারীরা জড়ো হয়ে গ্রামের ঐতিহ্য নতুর ধানের চালের আটার দিয়ে গ্রামীন হরেক রকম পিঠা-পুলি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সূর্যের আলোর মুখ ফুটতেই পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরা শুরু। কৃষক ইউসুফ মোল্লার বাড়ির উঠানে বড় বড় চুলাতে রান্নায় ব্যস্ত গ্রামের বাবুচিরা।

বরেন্দ্র অঞ্চলে বিলুপ্ত ধানের জাতগুলো ও জৈব কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দিতেই এ উৎসবের আয়োজন করেন বলে জানান, কৃষক ইউসুফ মোল্লা।

নবান্নের এই উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ বিআরডিসির কর্মকর্তা, সুশিল সমাজের ব্যক্তিরা। নবান্নের আয়োজনের মধ্যে আরো ছিলো- বরেন্দ্র অঞ্চলের বিলুপ্ত ধান ও বৈচিত্রময় খাদ্যের প্রদর্শনী, আলোচনা সভা।

তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলে,ন বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কতৃপক্ষ বিএমডিএ,র চেয়ারম্যান ড.আকবর হোসেন চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরেন্দ্র বীজ প্রকল্পের পরিচালক এটিএম রফিকুল ইসলাম, তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম, বিএমডিএ, তানোর জোনের প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, তানোর সহকারী কমিশনার(ভূমি)নিলুফা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা অধ্যাপক লুৎফর রহমান।

কৃষক ইউসুফ মোল্লা নিজের বাড়িতে প্রদর্শনীরও আয়োজন করেন। প্রদর্শনীতে দেশের বিলুপ্তি হওয়া ৩৫০ জাতের ধান ও প্রকৃতির খাল-বিলে থেকে হারিয়ে যাওয়া, মানকচ, ঘেচু, পদ্ম, লিখার, সিঙ্গার, ভ্যাট, শাপলা, কদম, ডুমুর, সালুক, কাটাখুড়া শাকসহ প্রায় ৫০ রকমের প্রাকৃতিক উৎপাদিত ফল ও সবজি ছিলো।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!