৩৬০ কোটি মানুষের সম্পদ কুক্ষিগত ৮ জনের হাতে

ঢাকা: অর্থনৈতিক বৈষম্য। বিষয়টি প্রতিনিয়তই জটিল হয়ে উঠছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র সকল অর্থনীতিক কাঠামতেই দিন দিন বেড়েই চলছে বৈষম্য। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আধুনিক অর্থনীতিবিদরা। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ‘অক্সফোর্ড কমিটি ফর ফেমিন রিলিফ’র (অক্সফ্যাম) এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে গত বছর বিশ্বের অর্ধেক সম্পদের মালিক ছিলো ৬২ জন মানুষ। এক বছরের ব্যবধানে তা আটজনে নেমে এসেছে।

আজ সোমবার এ নিয়ে একটি অক্সফ্যাম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আট ব্যক্তির হাতে দরিদ্রতম ৫০ শতাংশ মানুষের সমপরিমাণ সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে আছে। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সংস্থাটি।

ওই তালিকায় সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে উঠে এসেছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের নাম। এছাড়া তালিকায় আছেন স্পেনের ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান জারা’র প্রধান আমানিকো ওর্তেগা, ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং আমাজনের মালিক জেফ বেজোস। ওই আট ধনকুবের মিলে মোট ৪২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদের মালিক। তাদের এই সম্পদ পৃথিবীর ৩৬০ কোটি মানুষের সম্পদের সমান।

এই আর্থিক বৈষম্য রুখতে অর্থনীতির বিকল্প মডেল দাঁড় করানোর প্রস্তাব দিয়েছে দাতব্য সংস্থাটি। ‘এন ইকোনমি ফর নাইনটি নাইন পার্সেন্ট শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা। ধনীদের সম্পদের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাওয়ার পেছনে শ্রমিকদের মজুরি নিয়ন্ত্রণ, কর ফাঁকি এবং শ্রমিক নিষ্পেষণকে দায়ী করেছে অক্সফ্যাম।

অক্সফ্যামের প্রতিবেদনে দেখা যায়, আয় বৈষম্য প্রকটভাবে বেড়ে চলেছে ভারতে। দেশটির মোট সম্পদের ৭০ শতাংশের মালিক মাত্র ৫৭ জন ধনকুবের। ভারতের মোট সম্পদের শতকরা ৫৮ ভাগ কুক্ষিগত হয়ে আছে মাত্র এক শতাংশ মানুষের হাতে। বৈশ্বিক আর্থিক বৈষম্যের তুলনায় ভারতের এ বৈষম্য ৫০ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গেল এক বছরে অতি ধনী ও দরিদ্রতম ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেড়েছে। এই ব্যবধান কমাতে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়তেই থাকবে।

সোনালী নিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই