• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৫ কারণে জিতে গেলেন ট্রাম্প


নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ৯, ২০১৬, ০৫:৫৩ পিএম
৫ কারণে জিতে গেলেন ট্রাম্প

ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক বছর আগ থেকে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরুর পর থেকেই সব ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেকেই সন্দিহান ছিলেন শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী দৌড়ে টিকবেন কিনা, কিন্তু তিনি ভালোভাবেই টিকলেন। শুধু টিকলেনই না, সবার ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে তিনিই হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

প্রথম থেকেই বিভিন্ন বির্তকের জন্ম দেয়া, একের পর এক যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস তাকে শুরু থেকেই আলোচনায় রেখেছিল। বেশিরভাগ মার্কিনিদের ধারনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের হয়ত প্রথমবারের মত নতুন কিছু ঘটতে যাচ্ছে। তাদের ধারনা ছিল, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনই সম্ভবত প্রথম নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছে।

কিন্তু ঠিক নির্বাচনের কয়েক দিন আগ থেকে হিসাব পাল্টাতে থাকে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সব বির্তককে পাশ কাটিয়ে জয়ী না হলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অভাস দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাই হল। ফলাফল গেল তার পক্ষে। সমস্ত বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে তিনি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

অনেকের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত এই জয়ের পেছনে কি কারণ কাজ করেছে তা খুঁজে করার চেষ্টা করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জিতেতে এমন পাঁচটি কৌশল নিয়েছিলেন, যা অনেকের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্বোধ্য ছিল। ট্রাম্পের পাঁচটি কৌশল হলো-

ট্রাম্পের ‘শ্বেত জোয়ার’ : প্রথম দিকে যদিও বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক ট্রাম্পকে অপছন্দ করেছিল, শেষ পর্যন্ত তারাই তাকে সমর্থন দিয়েছে। যাদের একটি বড় অংশ হল শ্বোতঙ্গ।

বিতর্ক ও কেলেঙ্কারির পরেও অবিচল থাকা : রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অংশ নেয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্ক দেখা দেয়। কখনও ট্রাম্প নিজের বক্তৃতায় এমন কিছু কথা বলেছেন, যা নিয়ে বহু বিতর্কের জন্ম হয়েছে। এমনকি নারী কেলেঙ্কারির মত ঘটনায় জড়িয়ে তাকে কম দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। কিন্তু এসব কিছুর পরে তিনি বিচলিত না হয়ে অবিচল থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বচনের জয়ী হলেন।

রাজনীতিতে ‘বহিরাগত’ হয়েও কাউকে পাত্তা না দেয়া : ট্রাম্প মূলত ছিলেন একজন বড় মাপের আবাসন ব্যবসায়ী। কিন্তু তিনি ব্যবসায় হলেও রাজনীতির মাঠে নামার পর কাউকে ছাড় দেননি। তার প্রমাণ বিশ্ববাসী একাধিক বার দেখেছে। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়ে বার বার ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিটনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এমনকি বেফাঁস কথাবার্তাও বলেছেন।

হিলারির ই-মেইল ফাঁস : নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে হিলারির ই-মেইল ফাঁস করে দেন এফবিআই। ট্রাম্প ওই ইস্যুকে ভালোভাবেই নিজর পক্ষে কাজে লাগিয়েছেন।

নিজের ধারণার উপর ট্রাম্পের আস্থা : ট্রাম্প শুরু থেকেই বলছিলেন তিনি হবেন প্রেসিডেন্ট। তখন অনেকেই মনে মনে তাকে পাগল নির্বোধ বলে সম্বোধন করেছেন। তিনি হয়ত নিজের অনেক সময় বুঝতেন না তিনি কি বলছেন। তার পেরও তিনি কখন হতাশ হননি। নিজরে কাজের জন্য কম বির্তকের মুখোমুখি হননি। তার পরে তিনি নিজের উপর ঠিকই আস্থা রেখেছেন। হয়ত তখন জোনতেন না সত্যিই সত্যিই তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন।

নির্বাচন শুরু হলে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে গেল। একে একে আসতে লাগল ট্রাম্পের জয়ের খবর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রাজ্যগুলো চলে গেল ট্রাম্পের দখলে। হিলারি ক্লিনটনের ব্লু ফায়ারওয়াল ভেদ করে এই বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!