• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্যবন্ধু মনিরের বাসায়ই ছিলো সম্রাটের শেষ আশ্রয়


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৬, ২০১৯, ০২:৩৮ পিএম
বাল্যবন্ধু মনিরের বাসায়ই ছিলো সম্রাটের শেষ আশ্রয়

ঢাকা : স্কুলজীবনের বাল্যবন্ধু মনিরুল ইসলাম চৌধুরীর (৫৫) কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের বাসা থেকে গ্রেফতার হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। সরকার ও বিভিন্ন মহলের তীব্র চাপ থাকার পরও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছিল না।

শেষ পর্যন্ত রোববার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এদিকে যে বাড়ি থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয় সেই বাড়ির মালিক এক সময়ের শিবির নেতা বর্তমান জামায়াত নেতা ও স্টার লাইন পরিবহনের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের মেয়র হাজি আলাউদ্দিনের ভগ্নিপতি। আর আলাউদ্দিন স্টারলাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম চৌধুরী  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শিবিরের সাথী ছিলেন বলেও জানান স্থানীয়রা। বর্তমানে ফেনী জামায়াতের প্রশাসনিক বিভাগের দায়িত্বে আছেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচয় সম্পর্কে আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম ফারুক স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের জনৈক মুনির চৌধুরীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন সম্রাট।’ তিনি আরও বলেন, ‘একসময় মুনির ছাত্রশিবির করতেন। এখন তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করছেন। এলাকায় তিনি জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচিত।’

জানা গেছে, এই মনিরুলে সঙ্গে সম্রাটের পরিচয় তার স্কুল জীবন থেকে। স্কুল জীবনের বাল্যবন্ধু হওয়ায় সম্রাটের সঙ্গে তার বেশ সক্ষতা ছিল বলেও গ্রামবাসী জানিয়েছে। তবে সম্রাট যে এই বাড়িতেই গত ১০দিন ধরে লুকিয়ে ছিলে তা কেউ টের পায়নি।

মনিরুলের ভাতিজি জানায়, এই বাড়িটিতে শুধু দাদি (মনিরুল ইসলামের মা) থাকতেন। তবে এখানে যে সম্রাট লুকিয়ে আছেন তা কেউ জানতো না। র‌্যাব এসে যখন এখনে ঢুকতে চায় তখন আমরা বলেছিলাম এখানে কেউ নেই।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা থেকে র‌্যাব এই এলাকায় অবস্থান নেয়। তবে ঠিক কি কারণে তারা এই এলাকায় এতো র‌্যাব এসেছে তা কেউ জানতেন না। অধিকাংশ র‌্যাব সদস্যের ঢায়ে কোলো শার্ট পরা ছিল। এরপর ভোরে যখন র‌্যাব অভিযান শুরু করে তখন বেশ কয়েকটি র‌্যাবের গাড়ি এই এলাকায় আসে।

স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের এই এলাকায় অটোরিকশা,রিকশা বা মোটরসাইকেল ছাড়া আসা খুবই কঠিন। এলাকাটি সীমান্তের খুব কাছে এবং ফেনীর বোর্ডার সংলগ্ন।  

সোনালীনিউজ/এএস

 

Wordbridge School
Link copied!