• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতাও হতে পারে : শামিম ওসমান


নিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০, ০২:৩৯ পিএম
মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতাও হতে পারে : শামিম ওসমান

ছবি: প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরনের ঘটনায় নাশকতার আশংকা করছেন সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি বলেন,ন্যাক্কারজনক এঘটনায় আমি নাশকতার আশংকা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে এব্যাপারে অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। 

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন। তবে তার বক্তব্য নিয়ে মিডিয়া যাতে পক্ষপাত না করে সে বিষয়ে অনুরোধ করেন।
 
শামীম ওসমান বলেন, আমি কোন তদন্তকারী কর্মকর্তা না, এখানে আমার বলার তেমন কিছুই নেই। ২০০১ সালে চুন খেয়ে মুখ পুড়েছে, সেই আলোকে কিছু বলতে পারি। এসি বিস্ফোরিত হলে বাহিরে হবে ভিতরে না, এসি’র চেম্বার হয়তো ছাদে আছে। দ্বিতীয়ত গ্যাসের লাইন দেখলাম বাহিরে গেটের সাথে আছে ওইটা ভিতরে ঢুকবে না। বাতাস ওপেন বেড়িয়ে যাবে, ভিতরে কিছু থাকলে সেটা তদন্তকারী কর্মকর্তারা বের করবে। আসলো কোথা থেকে ফায়ার টা? এখানে এসি ব্যতীত অন্য কোন ঘটনা আছে কিনা তা তদন্ত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি।

এসময় শামীম ওসমান আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে এটার ব্যাপারে যোগাযোগ করছেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। যারা নিহত-আহত হয়েছেন কর্মক্ষম না, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমরাও তাদের দিকে সুদৃষ্টি রাখবো। কিন্তু, মানুষের জীবন তো ফিরিয়ে দেয়া যাবে না। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, চলেই গেছেন উনারা শহীদের মর্যাদা পেয়েই গেছেন। যারা মৃত্যুবরণ করেন নি, তাদের পরিবারের যে কি ব্যাথা-শোক, যার গেছে সেই বুঝতে পারে, আমরা পারবো না।

 

এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় তিতাসের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন।

দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। জানালার কাচ উড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গ্যাস থেকেই এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন।

দুর্ঘটনার পর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, মসজিদের সামনের গ্যাসের লাইনে লিকেজ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এসি চালানোর সময় জানালা বন্ধ থাকায় ওই গ্যাস ভেতরে জমা হয়ে যায়। হঠাৎ কেউ বৈদ্যুতিক সুইচ অফ-অন করতে গেলে স্পার্ক থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। পানি দেয়ার সময় বুদ বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান- গ্যাসের লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় মুসল্লিরা অভিযোগ করেছেন, মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে গ্যাসের গন্ধ পেতেন। এবিষয়ে মসজিদ কমিটির মাধ্যমে একাধিকবার জানানো হয়েছিল তিতাস কর্তৃপক্ষকে। তবে তারা এ বিষয়টি আমলে নেয়নি।আবার অনেকেই অভিযোগ করেছেন, টাকা না দেয়ায় পাইপ মেরামত করেনি তিতাস কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে তিতাস এমডি বলেন, মুসল্লিদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন ভিডিও

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!