• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

রোহিঙ্গাদের ১২০০ বাড়িঘর ধ্বংস করে দিয়েছে সেনাবাহিনী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ২১, ২০১৬, ০৭:২২ পিএম
রোহিঙ্গাদের ১২০০ বাড়িঘর ধ্বংস করে দিয়েছে সেনাবাহিনী

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের গ্রামগুলোতে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর গত ছয় সপ্তাহের অভিযানে ১ হাজার ২০০’র বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিও)।

সংস্থাটি জানায়, গত ১০ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ৮২০টি বাড়ি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত এসব বাড়ি ধ্বংসের কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিও। রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী গত ছয় সপ্তাহ ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠি। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যে কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করতে না দেয়ায় সেখানকার নির্যাতনের সঠিক খবর সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি। সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এদের একটি বড় অংশই ভীড় জমাচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তে।

মিয়ামনার সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এর আগে ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত কিছু ছবিতে এইচআরডব্লিও দাবি করেছিল, রাখাইন রাজ্যের তিনটি গ্রামে সেনাবাহিনী অন্তত ৪৩০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।

স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত ছবি

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়িতে গত ৯ অক্টোবর হামলার ঘটনায় ৯ পুলিশ নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানকার রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের দমন-পীড়ন শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, ওই হামলার পেছনে রোহিঙ্গারা জড়িত।

এদিকে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের অভিযান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছে। এক্ষেত্রে শান্তিতে নোবেলজয়ী ও দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এসব নিপীড়নের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নীরব রয়েছেন তিনি। ৯ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। যদিও স্থানীয়দের দাবি এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে।

এর আগে ২০১২ সালের এক সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় স্থানীয় বৌদ্ধদের হাতে নির্মম নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় রোহিঙ্গারা। তখনও এসব ইস্যুতে কোনো কথা বলেননি সু চি। বারবার রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিতর্কিত হয়ে উঠছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি এবং বর্তামানে মিয়ানমারের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা তার নেতৃত্বাধীন দল।

সোনালীনিউজ/ ঢাকা/ আরএস

Wordbridge School
Link copied!