• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্য সংকট শীত ও গ্রেপ্তারাতঙ্কে রোহিঙ্গারা


মুহিববুল্লাহ মুহিব নভেম্বর ২৭, ২০১৬, ১১:৩৯ এএম
খাদ্য সংকট শীত ও গ্রেপ্তারাতঙ্কে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারের চলমান সামরিক জান্তার নির্যাতন থেকে আপাতত মুক্তি মিলেছে কিন্ত বাংলাদেশের প্রশাসনের গ্রেপ্তারাতঙ্কে ভুগছেন অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। নাফ নদী পাড়ি দিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে। সীমান্তে বিজিবির কড়া নজদারি ও থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে গ্রেপ্তারাতঙ্কে রয়েছে বলে জানান অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী।

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের কয়েকটি শরণার্থী ক্যাম্পে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান অবস্থান করছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থানের পরেও উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাফ নদী পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশ করা হাজারো রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রেপ্তারাতঙ্কে এক প্রকার বন্দি জীবন পার করছেন। অল্প পরিসরের বেড়ার ঘর ও পলিথিনের ছাউনি। একটু ঘরে গাদাগাদি করে থাকছেন ৩৪ রোহিঙ্গা মুসলমান। তাদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ১৭ শিশু রয়েছে। গায়ে দেওয়ার মতো শীতবস্ত্র নেই তাদের। নেই পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থাও। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না অসুস্থ তিন শিশুর কান্না। উখিয়া উপজেলার কুতুপালং অস্থায়ী শরণার্থী ক্যাম্পে গতকাল এই দৃশ্য চোখে পড়ে।

শরণার্থী ক্যাম্পেগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, রাখাইন রাজ্য থেকে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা প্রায় আট হাজার রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের ঝুপড়ি ঘরেই বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। ক্যাম্পে বসবাসরত প্রতিটি ঘরে একটি বা দুটি সদ্য অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে। যতটুকু জুটছে, সবাই ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। কিন্ত এভাবে আর কতদিন?

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, দুদিন ধরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কিছুটা বন্ধ হলেও শত শত রোহিঙ্গা নাফ নদীতে ভাসছে। তারা মিয়ানমারে যেমন ফিরে যেতে পারছে না, তেমনি বাংলাদেশেও প্রবেশ করতে পারছে না।

বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গাদের কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত লোকজন বলছে, রাতের আঁধারে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে এদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। কতিপয় দালালচক্রের হাত ধরে টেকনাফের লেদা ও উখিয়ার কুতুপালং অস্থায়ী শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান নিচ্ছে তারা।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু কিছু বিচ্ছিন্ন অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলেও তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!