• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

অদৃশ্য চাপে ভেঙে পড়ছেন আশরাফুল!


রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ মে ৯, ২০১৭, ০৭:৫৬ পিএম
অদৃশ্য চাপে ভেঙে পড়ছেন আশরাফুল!

ঢাকা: বাংলাদেশের ক্রিকেটে তারা হয়ে এসেছিলেন তিনি। বলা হয়ে থাকে, এদেশে প্রথম সুপারস্টার তিনি। মোহাম্মদ আশরাফুল। একটা সময় যাকে ছাড়া বাংলাদেশ দল চিন্তাও করা যেতো না। সেই আশরাফুল ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিজের ক্রিকেটকে ক্যারিয়ারকে বিপথে ঠেলে দিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে কই! আশরাফুলের সামনে জাতীয় দলের দরজা খোলা রয়েছে। সেই জায়গায় নতুন করে ঢুকতে হলে যেটা করা দরকার সেই পারফরম্যান্সই যে তার ঠিকঠাক হচ্ছে না।

জাতীয় লিগ দিয়ে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। প্রত্যাবর্তনটা মোটেও ভালো হয়নি আশরাফুলের। তিনি চেয়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে। কিন্তু এখনো অবধি যা পারফরম্যান্স সেটা আশরাফুলও ভুলে যেতে চাইবেন। সাত ম্যাচ থেকে রান করেছে সাকুল্যে ৮৮। সর্বোচ্চ ৪৬।

ব্যাটে এতটাই রানখরা যে আশরাফুল নিজেই নিজের সঙ্গে কথা বলে মঙ্গলবার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে খেললেন না। ফর্মে ফিরতে বিরতি দিয়েছেন। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? সোনালীনিউজ-এর পক্ষ থেকে আশরাফুলের কাছা রাখা হয়েছিল এই প্রশ্ন। উত্তরে সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন,‘ আসলে এক ধরণের তাড়না আমার মধ্যে কাজ করছে। ভালো করার তাড়না। কিছু একটা করে দেখাতে হবে এই তাড়না। এই চাপটা আমাকে কেউ দিচ্ছে না, ভেতর থেকে আসছে। এটা না নিয়ে স্বাভাবিক খেলতে পারলে এতটা খারাপ হতো না।’

একটা সময় আশরাফুলকে নিয়ে সেকি মাতামাতি। অন্যদের চেয়ে তাকে নিয়ে একটু বেশিই মাতামাতি হয়েছে। অল্প বয়সেই আশরাফুল দেখেছেন তারকা খ্যাতি। অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়া কাপে তার চোখ জুড়ানো ৮৮ রানের ইনিংস অনেকেরই মনে থাকার কথা। অন্যপ্রান্তে তার সঙ্গে ছিলেন আফতাব আহমেদ। সেই শুরু। তারপর ২০০১ সালে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডে (এসএসসি) তো ইতিহাসই লিখে ফেললেন সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি করে। ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়া বধের ম্যাচটিতে ঠিক ১০০ করেছিলেন আশরাফুল। ২০০৭ ক্যারিবিয়ান বিশ্বকাপে অন্য আশরাফুলকেই দেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এসবই  এখন অতীত।স্মৃতি হাতড়ে নিশ্চয় আশরাফুল অতীতে ফেরেন। তখন কি ছিলেন আর এখন কি!

আশরাফুল নিজেকে চেপে রাখতে চাইলেন। তিনি মেনে নিয়েছেন এটাই জীবন। ওসব নিয়ে ভাবেন না! সামনের দিকে তাকাতে চান। কিন্তু চাইলেই কি সেই স্মৃতি মুছে ফেলা যায়? আশরাফুলেরও অবচেতন মনে ফিরে আসে সোনালী অতীত। যেটা তাকে ভালো করার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এই অদৃশ্য চাপ আশরাফুল ছাড়া আর কারো দেখার সাধ্যি নেই। ততক্ষণে গলা ধরে এসেছে বাংলাদেশের প্রথম সুপারস্টারের। একা নিঃশ্বাসে বলে চলেন,‘ হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। একটা অদৃশ্য চাপ তো আছেই। ভালো করতে চাই পারছি না। যেদিন ৪৬ করলাম, সেদিন আমার হান্ড্রেড মারা উচিৎ ছিল। সামনে তিনটি ম্যাচ বাকি আছে। একটা ইনিংসে ভালো করতে পারলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!