• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

আফ্রিকার আগুন সুন্দরী যারা


ফিচার ডেস্ক আগস্ট ১৭, ২০১৭, ০২:৪৬ পিএম
আফ্রিকার আগুন সুন্দরী যারা

ফাইল ছবি

ঢাকা: আফ্রিকা মহাদেশের কথা মাথায় আসলেই কৃষ্ণ-কালো মানুষের কথা মাথায় আসে। হ্যাঁ, এমনটা মনে হওয়ার কারণও আছে, মহাদেশটির উত্তর পশ্চিম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলিয় কয়েকটি দেশ ছাড়া সব দেশের মানুষই কালো বর্ণে হয়ে থাকে। সবাই কালো বিধায় তাদের মধ্য সুন্দরী নির্বাচনের পদ্ধতিও রয়েছে। সাধারণত বয়স, শিক্ষা, শারীরীক গঠন, ভাষা ও ক্যারিয়ার বংশসহ নানা দিক বিবেচনা করে তাদের মধ্যে সুন্দরী বাছাই করা হয়। এছাড়াও, তাদের মধ্যে এমন অনেক মেয়ে রয়েছে, যারা কালো হলেও মুখের গঠন ও শারীরীক গঠনের কারণে সবার কাছেই অনেক সুন্দরী ও আকর্ষণীয়। 

এদের মধ্য থেকে সিকাগো ভিত্তিক ম্যাগাজিন এনপি ব্লাক ভার্সনে ‘আফ্রিকান কান্ট্রিস উইথ দ্য মোস্ট বিউটিফুল ওম্যান’ শিরোনামে ১০ দেশ ও নারীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে আফ্রিকার যেসব দেশে সুন্দরী নারীর জন্ম হয় এবং সেসব দেশের সবচেয়ে সুন্দরী নারী সম্বন্ধে জানা যাবে। সেখান থেকে চুম্বক অংশ সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

গেইভার মিনা

তানজানিয়া:
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে তানজানিয়ার মেয়েরা অনেক সুন্দর হয়। আপনি যদি অফ্রিকার সুন্দর মেয়ে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই তানজানিয়ার মেয়েদের দেখতে হবে। কারণ, তারা যেমন শারীরীক গঠনে সুন্দর তেমনি কাজেও পটু, শিক্ষা-দিক্ষাতেও এগিয়ে।

বিশেষ করে তাদের চাহনি, আচার আচারণ এবং নম্রতাই তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে। দেশটির অসংখ্য মডেলের মধ্যে সবার মন জয় করেছেন গেইভার মিনা। সম্প্রতি তিনি অপর এক মডেলকে বিয়ে করেছেন। তানজানিয়াতো বটেই পুরো আফ্রো-বিশ্বেই তার সৌন্দর্য ও অভিনয়ে মুগ্ধ।

লুপিতা নায়নগো

কেনিয়া: 
কেনিয়ার মেয়েরা হয় সুদর্শনী ও খুবই রোমান্টিক, অফ্রিকার মধ্যে সুন্দরী রমনি খুঁজতে হলে কেনিয়ার দিকে তাকাতে হবে। দেশটির মেয়েরা হয় স্বাধীনচেতা, কঠোর পরিশ্রমী এবং সমাজ সচেতন।

দেশটির মেয়েদের বর্ণনা দিতে হলে বলতে হবে- তারা লম্বা, আবলুস, আর তারা সঙ্গীকে আনন্দ দিতে পটু। তাদের মধ্যেই এমনি একজন যিনি হলিউড মাতিয়েছেন, লুপিতা নায়নগো। পেশায় একজন অভিনেত্রী, মেক্সিকোতে কেনিয়ান পিতা মাতার ঘরে জন্ম তার। আর বেড়ে উঠা অবশ্য কেনিয়াতেই। ২০১৪ সালে পিপলস ম্যাগাজিনের বিশ্ব সুন্দরীরের তালিকায় তিনি স্থান পেয়েছেন।

জুলি দোজুলদে বোকুম

ঘানা:
ঘানার নারীরা তাদের স্বামীদের খুবই সম্মান করেন। তাদের সঙ্গীদের সঙ্গ দেয়ার অভিজ্ঞতাও বেশ। তাদের গায়ের রঙ হয় অবলুস, এবং আকর্ষণীয় চাহনি থাকে তাদের। দেশটিতে রয়েছে অসংখ্য দর্শক নন্দিত অভিনেত্রী ও সুন্দরী, তাদের মধ্যে বিখ্যাত হলেন জুলি দোজুলদে বোকুম। 

আই বি ওয়ারিনডে

নাইজেরিয়া:
অফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনীতিক দিক দিয়ে প্রথম সারির একটি মুসলিম দেশ নাইজেরিয়া। দেশটিতে নানা জাতি ও সংস্কৃতি লোকের বসবাস। দেশটির মেয়েরা হয় আকর্ষণীয় চেহারার ও আবেদনময়ী।

নাইজেরিয়ার শিশু ও নারীরা হয় কঠোর পরিশ্রমী, স্ত্রী হিসেবেও তারা খুবই আদর্শ। তারা পরিবারের ও বাড়ি ঘরের যন্ত নেয় খুবই সুন্দরভাবে। এবং তাদের রান্নার হাতও খুবই ভালো। দেশটির অসংখ্য অভিনেত্রীই হলিউডে অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে বিখ্যাত সাবেক মিস আফ্রিকা আই বি ওয়ারিনডে। 

ক্যানডিক সোয়ানিপয়েল

দক্ষিণ আফ্রিকা:
রেইনবো জাতি হিসেবেই খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। তারা সাদা-কালো উভয় বর্ণেরই হয়ে থাকে। দেশটির কেপ টাউন, জোহানেসবার্গ, প্রেটোরিয়া এবং ডুর্বানে অনেক সুন্দরী নারী রয়েছে। 

দেশটির সবচেয়ে আবেদনময়ী ও দর্শক নন্দিত অভিনেত্রী ও সুপার মডেল হলেন ক্যানডিক সোয়ানিপয়েল। দক্ষিণ অফ্রিকার এই ড্রিম গার্লের উপার্জন সবচেয়ে বেশি। চাহনি ও চুলের স্টাইলের কারণে দেশটিতে সবচেয়ে বিখ্যাত এই মডেল।

মারিয়া বোরগেস

অ্যাংগোলা:
আটলান্টিকের কন্যা খ্যাত অ্যাংগোলার মেয়েরা ব্রাজিলের মেয়েদের মতই সুন্দর হয়ে থাকে। দেশেটির অনেক নারী মডেল বিশ্ব কাঁপিয়েছেন। দেশটির মেয়েরা হয় আফ্রো-এশিয়ানদের মত চেহারার অধিকারী হয়।  দেশটির অন্যতম মডেল মারিয়া বোরগেস। যিনি ভিক্টোরিয়া সিক্রেট ফ্যাশন সো জয় করেছেন। মূলত এই অভিনেত্রী তার চুলের স্টাইলের জন্য বিখ্যাত। সেই সাথে তিনি অসংখ্য দর্শক নন্দিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

কেপ ভার্ডিক আইল্যান্ড:
ছোট ছোট কয়েকটি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত কেপ ভার্ডিক আইল্যান্ড। দেশটি সমুদ্রকন্যা হিসেবেও পরিচিত। সেখানকার আবহাওয়ার কারণেই দেশটির মানুষ লালচে বর্ণের হয়ে থাকে। দেশটির মেয়েরা যেমনি আবেদনময়ী, তেমনি সংসারী হয়ে থাকে। দেশটির অনেক মডেল রয়েছে। যারা পুরো আফ্রিকা মাতিয়ে বেড়ায়। পর্যটনের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় দেশটিতে আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে অনেকেই গিয়ে বসবাস করার কারণে দেশটির মেয়েরা মিশ্র বর্ণেরও হয়ে থাকে।

সম্প্রতি, দেশটি থেকে যুক্তরাজ্য বেশ কয়েজন সুপারমডেল নিয়েছে।

লিয়া কেবিদি

ইথিওপিয়া:
হর্ন অব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার মেয়েরা অফ্রিকার অন্যান্য দেশের মেয়েদের তুলনায় অনেক আধুনিক। তারা আকর্ষণীয় শরীরের অধিকারী হয়। লম্বা ও নিখুঁত শরীরের এই মেয়েরা হয় অনেক ধার্মিক ও অনুগত। সোমালিয়ার পাশের দেশ হওয়াতে দেশটিতে বহু বছর আগে থেকে বিদেশি বণিকরা বসবাস করা শুরু করে। ফলে ছেলে মেয়েদের মধ্যে সংকরের ছোঁয়া লেগেছে। 

দেশটির অন্যতম সুপার মডেল হলো লিয়া কেবিদি। ৩৯ বছর বয়সী এই মডেল প্রথম কোনো অফ্রিকান অভিনেত্রী যিনি ইস্টি লাউডারের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। নিজ দেশের বাইরে তিনি হলিউডে, ফ্রান্স ও জার্মানিতে কাজ করেছেন। বিশ্ব সবচেয়ে ধনি সুপারমডেল হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে।

ইয়সমিন আবসির ওয়াসেম

সোমালিয়া:
আফ্রিকার অন্যতম মুসলিম দেশ সোমালিয়া। আকর্ষণীয় শরীরের অধিকারীয় সোমালিয়ান মেয়েরা। সেই সাথে যেমনি লম্বা ও তেমনি সুন্দর। হর্ন অব অফ্রিকার দেশটিতে বিখ্যাত সমুদ্রবন্দরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে বণিকরা আসে। অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসও করেন। যার কারণে সেখানকার মেয়ে ও ছেলেদের চেহারায় আফ্রো-এশিয়া ও আফ্রো-ইউরোপিও চেহারার ছাপ দেখা যায়।

তেমিন একজন ইয়সমিন আবসির ওয়াসেম। যিনি ইতিমধ্যেই কানাডা ও আমেরিকার ইন্ডাস্ট্রি জয় করেছেন। অসংখ্য ব্যাবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ইয়াসমিন ১৯৭৬ সালে সোমালিয়ার মোগাদিসুতে জন্মগ্রহণ করেন।

সোনিয়া রোলান্ড

রুয়ান্ডা:
মধ্য অফ্রিাকার দেশ, রুয়ান্ডা। এটি ভিক্টোরিয়া রদের পাশের দেশ। আবার আফ্রিকার হিডেন অ্যাপল খ্যাত দেশটির সব মেয়েরাই অনেক সুন্দর। উজ্জ্বল বর্ণের এই মেয়েরা এক এক জন এক এক গুণের অধিকারী, সত্যই তারা সবাই ভালোবাসা পাবার যোগ্য। দরিদ্র ঘরের মেয়ে হলেও তারা সৌন্দর্য সচেতন হয়। 

তেমিন একজন মিস ফ্রান্স খ্যাত সোনিয়া রোলান্ড। ১৯৮১ সালে রুয়ান্ডায় জন্ম নেয়া এই মডেল ১৯৯০ এর দিকে বাবা মায়ের সঙ্গে ফ্রান্সে পাড়ি জমান। এবং ২০০০ সালে মিস ফ্রান্স হন। এ রকম অসংখ্য সুন্দরী এখন রুয়ান্ডায় রয়েছে।   


সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!