ঢাকা: দেশের ফুটবলের ঘোর দুর্দিনেও আলো জ্বেলে রেখেছে বয়স ভিত্তিক দলগুলো। গত সেপ্টেম্বরে ভূটানে অনুষ্ঠিত সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে সেই প্রমাণ রেখেছিল বাংলাদেশের যুবারা। এএফসি অনুর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে স্বাগতিক তাজিকিস্তানের সঙ্গে গোল শূন্য ড্র এবং মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় আরও আত্ববিশ্বাসী করেছে তুলেছে মাহবুব হোসেন রক্সির শিষ্যদের। এবার সুফিল-জাফরদের সামনে উজবেকিস্তান পরীক্ষা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) তাজিকিস্তানের দুশানবের রিপাবলিকান সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে উজবেকরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শুভ সূচনা করেছে উজবেক যুবাবারা। জিতেছে মালদ্বীপের বিপক্ষেও। ফিফা র্যাংকিংয়েও যোজন যোজন ব্যবধান দুই দলের মধ্যে। বাংলাদেশের চেয়ে ৮০ ধাপ এগিয়ে উজবেকিস্তান।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বয়স ভিত্তিক দলগুলো মাঠে যেমন পারফর্ম করছে তাতে আশাবাদি বাংলাদেশ দলের কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি। তাই জয় সম্ভন না হলেও অন্তত ড্রয়ের মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করাই তার লক্ষ্য। এ বিষয়ে রক্সি বলেন, ‘আমরা পয়েন্টের জন্য খেলবো। তার বেশি কিছু হলে সেটাতো অবশ্যই ভালো।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডকে নিয়ে উজবেকিস্তানের দুটি ম্যাচ দেখেছি। ওদের শক্তি আর দুর্বলতা কোথায় তা বোঝার চেষ্টা করেছি এবং এ কয়দিন আমরা সেভাবেই কাজ করেছি। তবে মালদ্বীপের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, উজবেকদের সঙ্গে সেভাবে খেলা যাবে না। আমাদের ফরম্যাশনে পরিবর্তন হবে। দলেও পরিবর্তন আসবে।
বাছাইপর্বে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দলগুলো ১৬ জাতির চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে। বেস্ট রানার্সআপ হিসেবে আরো ৫টি দল ঠাই পাবে চুড়ান্ত পর্বে। সেই সঙ্গে অংশ নিবে স্বাগতিক দেশ। তাই অনন্ত রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে হলে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে অন্তত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলে সম্ভাবনাটা টিকে থাকবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই
আপনার মতামত লিখুন :