‘আগামীতে পিছা মার্কা আনুম, তাও নৌকা মার্কা আনুম না‍‍’

  • মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০১:৩১ পিএম
দ্বীন ইসলাম শেখ

মুন্সিগঞ্জ: ভোট যা হইছে বাদ, আজকে থেকে পিছনে কি হইছে সেটা দেখবো না। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি খালি সামনে দেখি। সামনে দেখবো এগিয়ে যাবো। আজকে আমরা চেয়ারম্যান হাইরা গিয়া মন খারাপ করছে অনেকে। ভাগ্য থাকলেতো আগামীবার উপজেলাও করতে পারি, কি বলেন? চেয়ারম্যানী নিয়া চিন্তা করার কিছু নাই। চাইলে আল্লাহরেও পাওয়া যায়, এটাতো চেয়ারম্যানীই। এবারও পারতাম, তয় দুই-চারটা মরতো হয়তো। এজন্য করি নাই। আগামীতে মনোনয়নও লাগবো না, ভোটও চাওয়া লাগবে না, এমনি আমরা পাস করুম। "যদি পিছা মার্কা থাকে তবে পিছা মার্কা আনুম, তবে নৌকা মার্কা আনুম না। পিছা মার্কা আনুম, নৌকা মার্কা আননতি নাই। নৌকা মার্কা না আনলে আমরা পাস করবো নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ। " কারন যারা ধানের শীর্ষ করে নৌকায় ভোট দিতে পারে না। তাগো নাকি হাত কাপে।

নির্বাচনে পরাজয়ের পর এক সভায় এবক্তব্য দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দ্বীন ইসলাম শেখ। দ্বীন ইসলাম আড়িয়ল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। 

এদিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হয়েছে এরমধ্যে। এনিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। 

এবিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি স্বীকার করে দ্বীন ইসলাম শেখ জানান, আমাদের ইউনিয়ন থেকে ১০জন নৌকা চাইছিলাম, আমি নৌকা পাওয়ার পর বাকি ৯জনই আমার বিপক্ষে কাজ করেছে। একজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো। সবাই মিলে আমাকে অনেকটা ঘরবন্দি করে রাখছিলো, আমার ভাগনেকে মারধর করা হয়েছিলো। স্থানীয় নেতাকর্মীরা, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি, প্রশাসন থেকেও অসহযোগিতা করা হয়েছে। নৌকার বিপক্ষে কাজ করা নেতার্মীদের বিষয়ে জেলার নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম।  মনের কষ্টে কথা তাই বলেছি।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার জানান, নির্বাচনে পাশ ফেল থাকবে, তবে তার এ বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। দলকে অবমাননা করা হয়েছে। এবিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাফিজ আল আসাদ বারেক বলেন, অনেক নেতাকর্মী আমার কাছে ভিডিওটি পাঠাচ্ছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে এমন কথা বলা আমাদের জন্য অত্যান্ত কষ্টদায়ক। তিনি আমাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে কটুক্তি করেছে। আমি আশা করি ওনি এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাবেন। এবিষয়ে নেতৃবৃন্দ থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ই নভেম্বর তৃতীয় ধাপে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিজয়ী হয় আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাদির হাওলাদার। পরাজিত হন নৌকা প্রতীকের দ্বীন ইসলাম শেখ।

সোনালীনিউজ/এমএস/এসআই