হাসপাতাল যেনো ময়লার ভাগাড়, বাসা বেঁধেছে তেলাপোঁকা

  • ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
ছবি : প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও: ভেতরে কিংবা বাইরে সব জায়গায় ময়লা। দেয়ালে দেয়ালে বাসা বেধেঁছে তেলাপোঁকা। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আড়াইশ শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা। রয়েছে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ারও অভিযোগ।

গ্রামাঞ্চলের অসহায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল। জেলার পাঁচটি উপজেলার রোগীরা ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি জেলার রোগিরাও ছুটে আসছেন আড়াই’শ শয্যার এ হাসপাতালটিতে।

[244258]

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগি ও স্বজনরা। নির্দিস্ট জায়গার ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রবেশ করতেই চোঁখে পরবে স্যাঁত সেঁতে পরিবেশে খাবারের উৎসৃস্ট পরে আছে। পরিস্থার পরিচ্ছন্নতার অভাবে দূর্গদ্ধে অতিষ্ঠ সেবা প্রত্যাশীরা।

শুধু তাই নয় হাসপাতালটির মেডিসিন, গাইনীসহ অধিকাংশ বিভাগের শয্যায় সেবা নেয়া রোগীর আশপাশ অপরিচ্ছতার পাশাপাশি সংলগ্ন ওয়াল কিংবা সংরক্ষিত জিনিসপত্র রাখার জায়গাগুলোতে বাসা বেঁধেছে তেলাপোঁকা। এ অবস্থায় সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করছে। একই সাথে অভিযোগ তুলছেন কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ার।

সেবা নিতে আসা রোগীরা অভিযোগ করে বলছেন, চিকিৎসা সেবা কাংঙ্খিত নয়। তবুও মানুষের ভরসাস্থল হাসপাতালটি। কারন অভাবের তারনায় সরকারের দেয়া সেবা নিতে আসেন রোগীরা। মুলতঃ জেলা শহরে বাসিন্দা হওয়ায় এ হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে চাকুরি করছেন ডাক্তাররা ছাড়াও অনেকে। বদলির কোন নাম গন্ধ নেই। হাসপাতালের পাশেই নিয়মিত প্রাইভেট ক্লিনিকে বসে পরামর্শ দিচ্ছেন। এসব চিকিৎসক হাসপাতালে এসে ভাল সেবা কেনো দিবে। তাহলে তো বাড়তি আয় কমে যাবে। বিষয়টি সরকারকে কঠোরভাবে দেখা দরকার। সেই সাথে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় অপরিচ্ছন্নতা চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে নিয়মিত। তাই বাধ্য হয়েই সেবা নিতে আসছেন রোগীরা।

হাসপাতালটির শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মোঃ সাজ্জাদ হায়দার শাহীন জানান, অপরিচ্ছন্ন অবস্থার কথা বরাবরেই বলা হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। তারা চেস্টাও করছেন। তবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আরো প্রয়োজন বলে মনে করেন হাসপাতালটির এই চিকিৎসক।

আর জেনারেল হাসপাতালটির তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ ফিরোজ জামান বলেন, এমন অবস্থার কথা স্বীকার করে জনবল সংকটের কারনেই এমন পরিস্থিতি বলে জানান হাসপাতালটির এই তত্বাবধায়ক। তবে নিজেদের সাধ্যমত সেবা দেয়ার চেস্টা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগিকে সেবা দিতে হলে অবশ্যই এ হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে রুপান্তিত করতে হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালটি ১৯৮৭ সালে পঞ্চাশ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরুর পর ১৯৯৭ সালে একশ শয্যা এবং সর্বশেষ ২০২০ সালে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে এ হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন সাত-আটশ

এসআই