লক্ষ্মীপুর: রায়পুর উপজেলা কেরোয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থীসহ ৩ জনকে ফরম না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
'৫০ লাখ টাকা লেনদেনের' অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। একইসঙ্গে ১৭ আগস্টের নির্বাচন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।
এদিকে বিক্ষোভ শেষে বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল আলম বাচ্চু বলেন, ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে কেরোয়া ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি বিক্রি হয়েছে।
এজন্য তড়িঘড়ি করে অবৈধ তফসিল ঘোষণা করা হয়। আমাদেরকে ফরম কিনতে দেওয়া হয়নি। অবৈধ নির্বাচন বন্ধ করতে আমরা কাউকে ছাড় দিবো না।
প্রসঙ্গত, জহিরুল আলম বাচ্চু ওই ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি এবারও একই পদপ্রত্যাশী।
স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, ৮ আগস্ট ফরম নেওয়ার তারিখ ছিল। প্রবাসী হওয়ায় নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া সরকারকে ফরম দেওয়া হয়নি। তিনি সভাপতি প্রার্থী। জহিরুল আলম বাচ্চু সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম নিয়েছেন। তিনি সই ছাড়া ফরম জমা দিয়েছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অভিযোগ। তবে পদপ্রত্যাশীদের প্রশ্ন একইদিন ফরম বিক্রি, জমা, যাচাই-বাচাই, প্রার্থী চূড়ান্ত, প্রতিক বরাদ্দ কেন?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম সরকার, জহিরুল আলম বাচ্চু ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী রুবেল হোসেনকে দলীয় প্রার্থীতার ফরম দেওয়া হয়নি। রুবেল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।
নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া সরকার জানান, প্রবাসী হওয়ায় আমাকে ফরম দেওয়া হয়নি। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে। বিদেশ থেকেও নেতাকর্মীদের সবসময় সহযোগীতা করেছি। আমি এখন দেশে আছি। এরপরও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অবৈধ লেনদেনের কারণে আমাকে ফরম দেওয়া হয়নি।
জহিরুল আলম বাচ্চু বলেন, অবৈধ তফসিল ও নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জেলার নেতাদের অভিযোগ জানিয়েছি।
ওই নেতা দাবি করেন, দুলাল মোল্লাকে সভাপতি করার জন্য ঢাকায় ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এজন্য তড়িগড়ি করে নাটক সাজিয়েছে।
নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও জেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রশিদ বেপারী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, দলের জন্য নজরুলের ত্যাগ-শ্রম রয়েছে।
আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় তাকে ফরম দেওয়া হয়নি। এজন্য তিনি ঝামেলা করেছেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাচ্চু ফরম জমা দিয়েছেন, কিছু ত্রুটি রয়েছে। তাকে আপিল করতে বলা হয়েছে, আপিল করেছেন কি না জানা নেই।
তিনিও নজরুলের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের বিরোধীতা করেছেন। রুবেল নামে কেউই ফরম কিনতে আসেনি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, বিক্ষোভের বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া ফরম না দেওয়ার কোন অভিযোগ কেউ আমাদের কাছে দেয়নি।
এআর