নড়াইল সদর উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। আজ সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম৷ তবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগীর পরিবারের করা মামলার পাঁচ দিনেও অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম তরিকুল ইসলাম। তার বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলায়। তিনি একই উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক তরিকুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে কোচিং করাতেন৷ তার বিরুদ্ধে চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর কোচিং শেষে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়। এ কারণে 'সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী আদেশ জারির তারিখ(২২ অক্টোবর) থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রদান করা হলো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের তরিকুলের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে ছাত্রী শ্লীলতাহানির আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৫ তারিখ বিকেলে ছুটির পর একটি শ্রেণির চার শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন তরিকুল। এ সময় কৌশলে তিন শিক্ষার্থীকে বের করে দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালান তিনি। সম্মানহানির ভয়ে মেয়ের পরিবার প্রথমে চুপ ছিলেন। পরে ২১ তারিখে তারা নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য বলেন, সবকিছু উপেক্ষা করে, সামাজিক সম্মানহানিকে তুচ্ছ করে মামলা করেছি। কিন্তু পাঁচ দিনেও অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়নি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) মো. মাসুদ রানা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুলকে আমরা এখনো গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে তাকে ধরতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
এম