সিলেটের ৬টি আসনে বিএনপিতে গ্রুপিং, একক প্রার্থীতে শক্ত অবস্থানে জামায়াত

  • সিলেট ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সিলেটের ছয়টি আসনে বেড়েছে নির্বাচনী উত্তাপ। শহর, গ্রাম ও জনবহুল এলাকাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রার্থীরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগে ব্যস্ত। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও ডিজিটাল প্রচারণায় পুরো এলাকা এখন সাড়া ফেলা নির্বাচনী পরিবেশে ভরে উঠেছে।

বৃহত্তম দল বিএনপি এখনও চূড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। মনোনয়ন পাওয়ার আশায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ বাড়িয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে দলীয় হাইকম্যান্ডের নির্দেশে ঐক্য ধরে রাখতে সকল প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।

অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী সব আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করায় ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে নেমেছে। নতুন প্রার্থী হিসেবে মাওলানা হাবিবুর রহমান চিকিৎসা সেবা ও ব্যবসায়িক পরিচিতি থেকে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এছাড়া জমিয়ত, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপির প্রার্থীরাও মাঠে সক্রিয়।

সিলেট-১ আসন দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ কেন্দ্র। এখানে বিএনপির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত।

সিলেট-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় তাহসিনা রুশদী লুনা ও হুমায়ুন কবির। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান।

সিলেট-৩ থেকে সিলেট-৬ পর্যন্ত আসনে বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্যান্য দলগুলোও সক্রিয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক সংযোগই মূল নির্ধারক।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জি কে গউছ জানান, ধানের শীষের একক প্রার্থী দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন। তবে আসন ভাগ বা সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাইকমান্ড নেবে।

সিলেটের ভোটাররা আশা করছেন, এবার প্রার্থীকে ব্যক্তিত্ব, কার্যক্ষমতা এবং জনসংযোগের ভিত্তিতে ভোট দেওয়া হবে। নির্বাচনী উত্তাপের সঙ্গে যুক্ত এই আসনগুলো স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতির দিকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

এসএইচ