কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় কৃষিতে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ধান কাটা রিপার মেশিনের ব্যবহার বদলে দিয়েছে এ অঞ্চলের কৃষির দৃশ্যপট। একসময় ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট, বেশি খরচ ও সময়ক্ষেপণে বিপাকে পড়তেন কৃষকেরা। এখন সেই সমস্যার সমাধান এনে দিয়েছে রংপুর বিভাগীয় গ্রামীণ ও কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের দেওয়া রিপার মেশিন।
আগে এক বিঘা জমির ধান কাটতে ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হতো এবং লেগে যেত পুরো একটি দিন। এখন রিপার মেশিনের সাহায্যে একই জমির ধান কাটা সম্ভব মাত্র এক ঘণ্টায়। এতে খরচ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি, সময় সাশ্রয় হয়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে কৃষকেরা একই মৌসুমে আরও বেশি জমিতে চাষ করতে পারছেন।
স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন, মকবুল হোসেন ও মনু মিয়া জানান, আগে মাঠে ধান পাকলে শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় পড়তে হতো। এখন রিপার মেশিন থাকায় সেই চিন্তা নেই। খুব সহজেই ধান কেটে ফেলা যায়।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু হোসেন বলেন, “কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় বিনামূল্যে একটি রিপার মেশিন দেওয়া হয়েছে। আমরা নিয়মিত মাঠে গিয়ে এর ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কৃষকদের খোঁজখবর নেই।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, “রংপুর বিভাগীয় কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৪–২৫ অর্থবছরে উপজেলায় ১০টি রিপার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দাসিয়ারছড়ায় একটি দেওয়া হয়। মেশিনটি ব্যবহারের ফলে এলাকার কৃষির চিত্রই বদলে গেছে। কৃষকেরা এখন আধুনিক যন্ত্রের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন এবং উৎপাদনও বাড়ছে।”
একসময় অবহেলিত দাসিয়ারছড়ায় এই পরিবর্তন স্থানীয়দের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। কৃষকেরা এখন বিশ্বাস করেন, প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিই এগিয়ে নেবে দাসিয়ারছড়াকে উন্নয়নের পথে।
এসএইচ