বরিশালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে হাফ ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার জেরে শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ভাঙচুর-সড়কে অগ্নিসংযোগের পর রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দুই পক্ষের বিরোধে বাসস্ট্যান্ডজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের দাবি—শ্রমিকদের হামলায় সরকারি বিএম কলেজের প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অপরদিকে শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষার্থীদের আক্রমণে অন্তত ২০ শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন এবং অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর হয়েছে।
বিএম কলেজের ছাত্রনেতা রাজুর বক্তব্য অনুযায়ী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বক্কর হিজলা থেকে বরিশালে ফিরছিলেন ‘সোহান হাওলাদার’ পরিবহনের বাসে। হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাসের সুপারভাইজার এবং হেলপার তার ওপর চড়াও হন ও লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ।
ঘটনা জানার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে শ্রমিকদের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ২৫–৩০ জন শ্রমিক একযোগে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে—এমন দাবি শিক্ষার্থীদের।
এ ঘটনার পর পরই উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পাল্টা হামলায় অংশ নেয়। স্ট্যান্ডজুড়ে একাধিক কাউন্টার ভাঙচুর, বেশ কিছু বাসে আগুন এবং অর্ধশতাধিক গাড়ি বিধ্বস্ত হয়। পুরো এলাকা শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, হঠাৎ হাজারো শিক্ষার্থী এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে। টার্মিনালের ভবন পর্যন্ত ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। আমরা ভেতরে আটকে ছিলাম, তাই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব এখনই জানানো সম্ভব নয়।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম বলেন, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে।
এম