ইভান্সের ব্যাটে মুশফিকদের চ্যালেঞ্জ জানাল মেহেদীরা

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০৩:৫৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আগের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ছিলেন লরি ইভান্স। সেই সেঞ্চুরিতে ভর করে ম্যাচ জিতেছিল রাজশাহী কিংস। বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে আরও একবার ব্যাটে ঝড় তুললেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটে চড়ে চিটাগং ভাইকিংসকে ১৫৮ রানের টার্গেট দিয়েছে পদ্মা পাড়ের দলটি।  

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করতে শুরুতেই রবি ফ্রাইলিংকের হাতে বল তুলে দেন মুশফিক। প্রথম ওভারে না পারলেও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই রাজশাহী কিংসের ওপেনার সৌম্য সরকারকে সাজঘরে পাঠান এই পেসার।

শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আঘাত হানেন খালেদ আহমেদ। মার্শাল আইয়ুবকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে বিদায় জানান জাতীয় দলে সদ্য অভিষিক্ত এই বোলার। এরপর আইরিশ রায়ান টেন ডেসকাটকে সঙ্গী করে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লরি ইভান্স। সফলও হন তারা। মেরে খেলতে গিয়ে আবু জায়েদের বলে ইয়াসির আলির তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডেসকাট।

সুবিধা করতে পারেননি জাকির হাসানও। মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তখনও একপ্রান্ত আগলে যাচ্ছিলেন ইভান্স। ইনিংসের ১৮তম ওভারে এসে ছন্দ পতন ঘরে এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের। খালিদ আহমেদের বলে মুশফিকুর রহীমের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেয়ার আগে ৫৬ বলে ৮টি চার আর ২ ছক্কায় ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ইভান্স। রাজশাহীর তখন ৫ উইকেটে ১১৯ রান।

শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন জোনকার ও মেহেদী মিরাজ। ২০ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন জোনকার। আর ৪ বলে ১০ রান করেন রাজশাহী অধিনায়ক। আর তাতেই ৫ উইকেটে ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজশাহী কিংস। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন খালিদ আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম, আবু জায়েদ ও রবি ফ্রাইলিংক। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই