দিনাজপুর : ভারত থেকে গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে গমের দাম। নতুন করে এলসি না দিলেও পূর্বের এলসিতে গম আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নতুন এলসি বন্ধের অজুহাতে প্রভাব পড়েছে দামে। তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৯ থেকে ১০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন পাইকাররা। এদিকে এলসি বন্ধের কারণে ভারতে গম বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গত ১২ মে পর্যন্ত যেসব আমদানিকারক গমের (এলসি) বা ঋণপত্র খুলেছেন তারাই শুধু গম আমদানি করতে পারছেন। নতুন করে গম আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছেন না কেউ। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
কয়েকজন আমদানিকারক জানান, ভারতে আমাদের আগের গমের এলসি করা থাকলেও ভারতের ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিচ্ছে। তা না হলে আমাদের গম দিচ্ছে না। কি করব আমাদের দেশের মিলগুলোতে গমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশের বাজারকে স্বাভাবিক রাখতে আমাদের বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। বন্দরে নিয়ে এসে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বন্দরে কথা হয় কয়েকজন পাইকারের সাথে তারা জানান, আমাদের হিলি স্থলবন্দরে বহু গমের ট্রাক রয়েছে এবং আমদানিকারকদের বহু এলসিও দেয়া আছে। এখন যে গমগুলো আসতেছে সেগুলোতো আগের এলসি করা। তাহলে দাম বাড়ছে কেন?
আরেকজন পাইকার জানান, ভারত থেকে গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিন দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি গমের দাম বেড়েছে ৯ থেকে ১০ টাকা। এতো দাম বাড়লে আমরা পাইকাররা বিপাকে পরবো।
হিলি কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম খান জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গম আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। গম একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তাই এটি দ্রুত ছাড়করণ করে থাকি। ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ মে পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৫৮৯টি ট্রাকে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ট্রন গম আমদানি হয়েছে। তবে সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ভারতীয় ৬টি ট্রাকে ২৪১ ট্রন।
সোনালীনিউজ/এসআইএ/এনএন







































