• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি নেতার মৃত্যুর তিনদিন পর মামলা নিল পুলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২, ২০২২, ০৭:৫২ পিএম
বিএনপি নেতার মৃত্যুর তিনদিন পর মামলা নিল পুলিশ

বরিশাল : বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লাকে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা হয়েছে। 


শনিবার (২ জুলাই) দুপুরের পর অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম।

তিনি জানান, জর্ডন রোড এলাকার গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিকসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং আরো চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

ওসি জানান, মামলার বাদী কালাম মোল্লা অভিযোগ এনেছেন রোগী ধরার দালাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন মিলে মারধর করলে গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লার মৃত্যু হয়। অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণের পর এসআই মেহেদী হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবায়েদুল হক চাঁন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, শাহ্ আমিনুল ইসলাম আমিন, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া পারভীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান পিন্টু ও নিহতের স্বজনরা। বিএনপির এই কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী।

মানববন্ধনে মামলার বাদী কালাম মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর পুলিশের সহায়তা চাওয়া হলেও তারা সহায়তা করেনি। এমনকি মামলা গ্রহণ নিয়ে টালবাহানা করেছে। অথচ আমার বাবা বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তিনি আসামিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, বাবুল মোল্লা দলমতের ঊর্ধ্বে একজন ভালো মানুষ ছিলেন। অথচ তাকে রোগী ধরার দালাল চক্র ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন মিলে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। অথচ পুলিশ নিরব ভূমিকায় রয়েছে। প্রশ্ন ওঠে পুলিশ কি তাহলে রোগীর দালাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে? তারা অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগী ধরা দালালদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জের ধরে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লাকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দিয়ে চাপা দেয় দালালরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

তবে অভিযুক্ত গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিক এসএম রফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন বাবুলের মৃত্যু দুঃখজনক। তার সঙ্গে কতিপয় দালালের ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। ঘটনার সময় আমি ওখানে ছিলাম না। কিন্তু কিছু লোক চক্রান্ত করে আমাকে ও আমার ভাইকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!