• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

রাজাকারের নাতিকে সাধারণ সম্পাদক বানালেন জয়-লেখক


নিজস্ব প্রতিবেদক  নভেম্বর ৮, ২০২২, ০৫:১২ পিএম
রাজাকারের নাতিকে সাধারণ সম্পাদক বানালেন জয়-লেখক

ঢাকা: আগামী এক বছরের জন্য ফরিদুল ইসলাম বাবুককে সভাপতি ও মো. নূরুল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রলীগের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তবে, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল্লাহ রাজাকারের নাতি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন ঘোষণার পর পরেই কমিটি করতে তোড়জোড় শুরু করেছে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। 

সোমবার দিবাগত রাতে (৮ নভেম্বর) প্রেস রিলিজের মাধ্যমে অন্তত ছয়টি কমিটি করেছে ছাত্রলীগের শীর্ষ এই দুই নেতা। তাদের মধ্যে একটি কমিটিতে রাজাকারের নাতিকে স্থান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দ জানায়, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে ইচ্ছুক প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত জামা দেওয়া পর তারা জানতে পারেন প্রার্থীদের মধ্যে রাজাকারের নাতি রয়েছে। পরে বিষয়টি অবগত করে তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেয়। কিন্তু তাদের চিঠিকে গুরুত্ব না দিয়ে রাজাকারের নাতি মো. নূরুল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

নেতারা আরও জানায়, অভিযুক্ত নুরুল্লাহর দাদার নাম মহিরুদ্দিন মকাই। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীনতা বিরোধী বাহিনীর দোসর ছিলেন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত মাও. আব্দুস সোবহানের একজন বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। তার দাদা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আতাইকুলা অঞ্চলে লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ ও নিরীহ মানুষদের হত্যার নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধী মাও. আব্দুস সোবহান তার ছেলে লালের মাধ্যমে পাবনার স্বাধীনতা বিরোধীদের সংঘঠিত করতো। আবেদনকারী নুরুল্লাহ'র পিতা লালের একজন বিশ্বস্ত সহচর হিসাবে কাজ করতেন বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ. স. ম. আব্দুর রহিম পাকন বলেন, তার দাদা রাজাকার ছিল আমি খোঁজ নিয়েছি। আমাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা বিষয়টি জানানোর পর আমি নিজেও খোঁজ নিয়েছি। পরে জানতে পেরেছি তার বাবা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও তার দাদা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল। আমাকে বিষয়টি নিয়ে নুরুল্লাহ ফোন দিয়েছিল আমি তাকেও সে কথা বলেছি। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে দিলে আমার কি করার আছে।

তবে, অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছেন মো. নুরুল্লাহ। তিনি বলেন, হয়তো প্রতিহিংসার জায়গা থেকে একথা কেউ বলেছে। এর আগেও আমি সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলাম। তখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। এটি মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা। আমার দাদা কোন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। আমার পরিবার আওয়ামী পরিবার। আমার বাবা জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য।

এ বিষয় জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি আলম খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন দিল তারা ফোন রিসিভ করেননি।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!